প্রসঙ্গত গত কয়েকমাস যাবত বাংলাদেশে নানা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি, বিশেষত সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনায় স্বপ্নদর্শীর মুখেভাত (অন্নপ্রাশন) নিয়ে কঠিন দুশ্চিন্তা বাড়ে দুই পরিবারের মধ্যে। এমন পরিস্থিতিতে দুই বাংলার সংস্কৃতিকে মান্যতা দিয়ে অভিনব অন্নপ্রাশনের আয়োজন করল বীরভূমের বোলপুর লাভপুরের সংস্কৃতি বাহিনীর গুরুকুল নাট্য আশ্রম। দুই বাংলাকে সমান মর্যাদা এবং সম্মানের ভিত্তিতে সৌভ্রাতৃত্ব বজায় রাখতেই এমন অভিনব উদ্যোগ বলে জানা যায়। অনুষ্ঠান দেখে অত্যন্ত খুশি এপার বাংলা-ওপার বাংলার বাসিন্দারা।
advertisement
কিন্তু এই মুখে ভাত অনুষ্ঠানে প্রথাগত মন্ত্র উচ্চারণ নয়, বরং শিশুর অন্নপ্রাশনে উপনিষদ থেকে মন্ত্রপাঠ করা হয়। সেই মন্ত্র পাঠের মাধ্যমে মুখেভাত অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। রবীন্দ্র-নজরুলের পাশাপাশি লাভপুরের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্মরণ করে এপার বাংলা এবং ওপার বাংলার ৯টি নদীর জল ও মাটি-সহ গঙ্গা-পদ্মার মিলনক্ষেত্র হয়ে ওঠে বকুল গাছ রোপনের মধ্য দিয়ে।
এই অন্নপ্রাশন অনুষ্ঠানে দুই বাংলার সংস্কৃতিকে মান্যতা দেওয়া হয়। সুসজ্জিত পোশাকে লাঙল নিয়ে চাষ দেন চাষিরা। শুধুই কী তাই!আকাশে ওড়ানো হয় পাঁচটি বন্দি পায়রা। এহেন এক অভিনব মুখেভাত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন স্বপ্নদর্শীর মামা প্রবীর সরকার, যিনি একসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসচিব ছিলেন।
এছাড়াও ‘পদ্মশ্রী’ রতন কাহার, ‘বঙ্গবিভূষণ’ কার্তিক দাস বাউল ছাড়াও বোলপুরের ভারত সেবা সংঘের শান্তি মহারাজ-সহ এলাকার আদিবাসী কচিকাঁচারা সকলেই ছিলেন এদিনের অনুষ্ঠানে। অভিনব এই অন্নপ্রাশনের সাক্ষী থাকলো গোটা বীরভূম থেকে শুরু করে এপার ওপার বাংলার বাসিন্দারা।
সৌভিক রায়





