এরপরেই গ্রামে সালিশিসভা বসে। অভিযোগ, সালিশিসভায় শিশু কন্যার মৃত্যুর জন্য ডাইনি বলে অভিযুক্ত করা হয় দুই শিশু কন্যা, সহ এক মহিলা ও পুরুষকে। অভিযোগ ওঠে, ওই সালিশি সভাতেই তাদের মারধর করা হয় ও মানুষের শরীরের বর্জ্য যথা মল মুত্র জোর করে খাওয়ানো হয় তাদের। এই ঘটনার কথা সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রথম উঠে আসে। তারপরেই তদন্ত শুরু করে রঘুনাথগঞ্জ থানার বিডিও ও পুলিশ।
advertisement
আরও পড়ুন- মর্মান্তিক! দুই সন্তানের সঙ্গে এ কী করল বাবা! হাড়হিম করা কাণ্ড বেলডাঙায়!
রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ অভিযুক্ত ওঝার সন্ধান শুরু করেছে। ঘটনার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ঘটনায় ওই গ্রামের মোড়ল ও এক আদিবাসী বৃদ্ধকে আটকও করেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, কয়েক দিন আগে ওই পাড়ায় এক শিশু কন্যার মৃত্যুর পর ওঝা ডাকেন পরিবারের সদস্যরা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওঝাকে ডাকার পরেই স্থানীয় কয়েকজনকে ‘ডাইনি’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ‘ডাইনি’ অপবাদ দিয়ে প্রকাশ্যে মানুষের বিষ্ঠা খাওয়ানো হয় বেশ কয়েকজনকে। ভাইরাল হয় সেই ভিডিও।
আরও পড়ুন- শ্বশুরবাড়িতে চড়াও হয়ে এ কী করে বসল জামাই! জানলে স্তম্ভিত হয়ে যাবেন!
ঘটনার খবর পেয়ে বুধবার ওই গ্রামে যান রঘুনাথগঞ্জ এক নম্বর ব্লকের বিডিও আবু তৈয়ব। তিনি জানান, "এই এলাকার মানুষের মধ্যে কিছু কুসংস্কার রয়েছে। সেখান থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে। আমরা মানুষকে বোঝাচ্ছি, ডাইনি প্রথা আর নেই। আগামী দিনে গ্রামের মানুষকে সচেতন করতে বিশেষ দুয়ারে সরকার ক্যাম্প ও হেলথ ক্যাম্প হবে।" যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গ্রামের মানুষ।
গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অরূপ মণ্ডলের কথায়, সালিশিসভার বৈঠক ডাকা হয়। সালিশিসভার নিদানে চারজনকে ডাইনি বলে সন্দেহ করা হয়। গ্রামে পুলিশ ও ব্লক প্রশাসন এসে পৌঁছান। গ্রামের বাসিন্দা সুমি মুর্মু জানান, "আমাদেরকে বর্জ্য খাওয়ানো হয় ইচ্ছাকৃত ভাবেই। আমাদেরকে ডাইনি সন্দেহে মারধরও করা হয়েছে। লাঠি দিয়ে মারধর করার পরে বর্জ্য খাওয়ানো হয়।" এই ঘটনার পর থেকে আতঙ্কিত গ্রামের বাসিন্দারা। ব্লক প্রশাসন সমস্ত ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।
Koushik Adhikary