গত ১ অগাস্ট হিমাচল প্রদেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন হুগলির ৫ পর্যটক। উদ্দেশ্য ছিল কৈলাসে গিয়ে শিব দর্শন। দুর্গম পাহাড়ে তাঁদের মধ্যে তিনজন পৌঁছে যান। গত মঙ্গলবার দুর্গম রাস্তা দিয়ে ফেরার পথে মৃত্যু হয় রাজীবের।
আরও পড়ুনঃ জলে ডুবে রাস্তাঘাট, লাটে উঠেছে পরিবহণ! রাজ্যের ‘এই’ গ্রামে চরম দুর্ভোগ, পঞ্চায়েত প্রধান বলছেন…
advertisement
স্থানীয় সূত্রে খবর, হিমাচলের পাহাড়ে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত ও ঠান্ডা বরফের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন রাজীব। তাঁর অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়। সেই সময় ওই যুবককে বেস ক্যাম্পে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। বুধবার তাঁর ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করবে প্রশাসন।
উত্তর কাশিতে ধস নামার প্রভাব পড়েছে কিন্নর কৈলাসে। সেই কারণেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে বলে খবর। এদিকে এই বাঙালি পর্যটকের পরিবারের দাবি, সরকারি তরফে মৃতদেহ ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করছে না ওখানকার প্রশাসন। সেই জন্য রাজীবের দেহ ফিরিয়ে আনতে তাঁরা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানাচ্ছেন।
আরও পড়ুনঃ বাবার ‘লালসা’র শিকার মেয়ে! খুনের ঘটনায় ফাঁসির সাজা দিল রাজ্যের আদালত
রাজীবের জামাইবাবু বলেন, ওদের পরিবারের অবস্থা খুব একটা ভাল নয়। কোনও রকমে টোটো চালিয়ে সংসার চালাত রাজীব। বাড়িতে মা ও ভাই রয়েছে। শখ বলতে ছিল, বিভিন্ন শৈব তীর্থে ঘুরতে যাওয়া। শ্রাবণ মাসের আগেই অমরনাথ ঘুরে এসেছিল । এরপর শ্রাবণ মাস উপলক্ষে কিন্নর কৈলাস যায়। ওখান থেকে ফেরার পথে ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্টের কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে আমরা জানতে পারছি। বর্তমানে আমাদের পরিবার খুবই অসহায় অবস্থায় রয়েছে। তাই হিমাচল প্রশাসন ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে আবেদন, আমাদের রাজীবের মৃতদেহ ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হোক।
বাঁশবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগী এই বিষয়ে বলেন, কৈলাসে গিয়ে আমাদের এলাকার যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আমরা তাঁর পরিবারের পাশে আছি। সবরকম সাহায্যের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।
