অভিযোগ, ওই যুবক নিজেকে সরকারি প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত বলে পরিচয় দিয়ে জানান, ৬০ বছরের বেশি বয়স হলে বছরে ৩২ হাজার টাকা বার্ধক্য ভাতা পাওয়া যায়। এর জন্য তাঁর সঙ্গে গিয়ে আবেদন করতে হবে, এমন প্রলোভন দেখিয়ে ওই দম্পতিকে বাইরে নিয়ে যায় যুবকটি। স্টেশন থেকে বেরিয়ে বৃদ্ধ দম্পতিকে সে কাটোয়া বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে আসে। সেখানেই বৃদ্ধকে বসিয়ে রেখে বৃদ্ধাকে টোটোয় চাপিয়ে শহরের ভিতরে নিয়ে যায়। তারপর থেকেই রক্ষাময়ী সর নিখোঁজ হন। স্ত্রীকে দীর্ঘক্ষণ না ফিরে আসতে দেখে মনোহর সর কাটোয়া থানায় খবর দেন। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে কাটোয়ার এসডিপিও কাশীনাথ মিস্ত্রীর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী অভিযান শুরু করে। কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়, একইসঙ্গে সিসি ক্যামেরার ফুটেজও খতিয়ে দেখা হয়। অবশেষে দুপুর ১টা নাগাদ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্প থেকে খবর আসে এক বৃদ্ধা কাঁদতে কাঁদতে বসে আছেন। তাঁকে থানায় নিয়ে আসার পর মনোহর সর তাঁকে নিজের স্ত্রী হিসেবে শনাক্ত করেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বামনিকে টেক্কা দিচ্ছে টুর্গা, কখনও গিয়েছেন এই জলপ্রপাত দেখতে? শীতের ছুটিতে ঘুরে আসুন
রক্ষাময়ী সর জানান, “বছরে ৩২ হাজার টাকা ভাতা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ওই যুবক আমাকে টোটোয় করে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘোরায়। পরে বলে, ওজন মাপার জন্য গলার হার, কানের দুল, হাতের বালা খুলে দিতে হবে। আমি বিশ্বাস করে খুলে দিই। সেগুলো রুমালে বেঁধে নিয়ে সে আমাকে হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যায়।” মনোহর সর বলেন, “স্ত্রীকে জীবিত অবস্থায় ফিরে পেয়েছি, পুলিশের কাছে এর চেয়ে বড় কৃতজ্ঞতা আর কিছু নেই। সকাল থেকে হৃদরোগী স্ত্রীর জন্য ভীষণ চিন্তায় ছিলাম।” বৃদ্ধের ছেলে জয়দেব সর জানান, “আমার বাবা-মায়ের বয়স হয়েছে, তাই তাঁরা কেপমারের ফাঁদ বুঝতে পারেননি। আমরা ইতিমধ্যেই লিখিতভাবে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।”
এসডিপিও কাশীনাথ মিস্ত্রী বলেন, “সরকারি ভাতার মোটা টাকার প্রলোভন দেখিয়ে কেপমার বৃদ্ধাকে নিয়ে গিয়েছিল। আমরা তাঁকে হাসপাতালে থেকে উদ্ধার করেছি। তাঁর গয়না নিয়ে অভিযুক্ত পালিয়েছে। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।”