একদিকে শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবার, অন্যদিকে বর্ধমানেশ্বরের আবির্ভাব দিবস। রাজ্যের অন্যতম বিখ্যাত শিব মন্দির এটি। বর্ধমানেশ্বরের আবির্ভাব দিবস উপলক্ষে জল ঢালতে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা এখানে আসেন। বিশাল আকারের কারণে এই শিব ‘মোটা শিব’ বা ‘বুড়ো শিব’ নামেও পরিচিত।
আরও পড়ুনঃ বকুলতলায় গেলেই দূর হয় সমস্যা! রোজ লেগে থাকে ভিড়, হচ্ছেটা কী মালদহে?
advertisement
১৯৭২ সালে এলাকায় পুকুর খোঁড়ার জন্য মাটি কাটার কাজ চলছিল। সেই সময় হঠাৎ পাথরের গায়ে গাঁইতির আঘাত লাগে। কৌতূহল বাড়ে শ্রমিকদের মধ্যে। ধীরে ধীরে খোঁড়া হয়। বার হয়ে আসে গৌরীপট্ট সহ এই বিশাল আকারের শিবলিঙ্গ। উচ্চতা প্রায় ছ’ফুট, ওজন ১৩ টনেরও বেশি। ক্রেনে করে তুলে সেই শিবলিঙ্গ স্থাপন করা হয়।
কাটোয়ায় গঙ্গার ঘাটে স্নান করে বাঁকে করে গঙ্গাজল নিয়ে আনুমানিক ৬০ কিলোমিটারেরও বেশি পথ পায়ে হেঁটে পুণ্যার্থীরা পৌঁছান বর্ধমানের আলমগঞ্জের মোটা শিব অর্থাৎ বর্ধমানেশ্বরের মাথায় জল ঢালতে। এরই মাঝে দেখা গেল এক ব্যক্তি তার বাঁকের একদিকে গঙ্গাজল অন্যদিকে শিশু কন্যাকে বসিয়ে বর্ধমানেশ্বরের দিকে হেঁটে আসছেন। তাঁকে দেখতে রাস্তায় ভিড় জমান অনেকেই।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পূর্ব বর্ধমানের পাল্লার বাসিন্দা সহদেব শর্মা কাটোয়া থেকে বাঁকের একদিকে জল অন্যদিকে নিজের শিশু কন্যাকে বসিয়ে পায়ে হেঁটে বর্ধমানেশ্বরে জল ঢালতে আসেন। তিনি জানান, বর্ধমানেশ্বরের কাছে তাঁর মানসিক ছিল তিনি মেয়েকে বাঁকে করে নিয়ে আসবেন। তাই সেভাবেই মেয়েকে নিয়ে মোটা শিবতলায় যাচ্ছেন তিনি। শিশুকন্যাকে বাঁকে চাপিয়ে পিতার এই জলযাত্রার দৃশ্য অনেক ভক্তকে মুগ্ধ করেছে।