পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দেবজ্যোতির বাবা কালাচাঁদ ধরের একটি ভুষিমাল দোকান রয়েছে। সেখানেই চাল দেওয়ার জন্য ঘরে থাকা ইলেকট্রিক ওজন মেশিনে চাল ওজন করছিল দেবজ্যোতি। ঠিক সেই সময় পাশের ঘরে পুজো দিচ্ছিলেন তার মা মুনমুন ধর। পুজো শেষ করে ছেলের ঘরে গিয়ে দেখেন দেবজ্যোতি মাটিতে অচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি চিৎকার করে উঠলে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ছুটে আসেন এবং ছেলেকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় সুভাসগ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসকেরা দেবজ্যোতিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
advertisement
এই আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। প্রতিবেশীরা জানান, দেবজ্যোতি শান্ত স্বভাবের এবং অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিল। তার অকাল প্রয়াণে পরিবার ও বন্ধুমহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সোনারপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে এবং ওজন মেশিনটি বাজেয়াপ্ত করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, মেশিনটিতে কোনও বিদ্যুৎ সংযোগের ত্রুটি থেকেই এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে ময়নাতদন্ত এবং ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত সঠিক কারণ বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে দেবজ্যোতির এই মর্মান্তিক মৃত্যু নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।
অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ কতটা সুরক্ষিত ছিল এবং ইলেকট্রিক যন্ত্র ব্যবহারের সময় কি ধরনের সতর্কতা নেওয়া হয়েছিল। পুলিশ ও পরিবার উভয় পক্ষই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এই দুর্ঘটনা আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, বাড়িতে ব্যবহৃত ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি কতটা নিরাপদ সেই বিষয়ে সচেতনতা ও সতর্কতা কতটা জরুরি।
সুমন সাহা