স্থানীয় সূত্রে খবর , গুরাপের কংসারিপুর মোড় চুঁচুড়া দশঘরা ২৩ নং রোডে একটি যাত্রীবাহী টোটোকে ধাক্কা মারে একটি ডাম্পার। টোটোটি ভাস্তার দিক থেকে গুড়াপের দিকে যাচ্ছিল। যাত্রী সমেত টোটোটি ঢুকে যায় ডাম্পারের নিচে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন স্থানীয় মানুষজন ও গুড়াপ থানার পুলিশ। ডাম্পারের নিচে থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়।পুলিশ সূত্রে খবর, অচৈতন্য অবস্থায় ডাম্পারের নিচ থেকে মোট ৬ জনকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসকরা ৫ জনকে মৃত বলে ঘোষনা করে বাকি একজনের পরে মৃত্যু হয়। টোটোর চালক তিনি মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: পুকুরের জলে ওটা কী ভাসছে! কাছে যেতেই ভয়ে শিউরে উঠলেন এলাকাবাসী, হাড়হিম ঘটনায় আতঙ্ক
হুগলি গ্রামীন পুলিশ সুপার কামনাশিষ সেন জানিয়েছেন ডাম্পার চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে।মৃতদের নাম বিদ্যুৎ বেরা , তিথি বেরা, দিহান বেরা সবাই সাটিথান পঞ্চায়েতের গোয়াই গ্রামে। বিদ্যুৎ ও তিথি স্বামী স্ত্রী, তাদের দু বছরের সন্তান দিহান। পান্ডুয়া রামেশ্বরপুরে বাড়ি রামপ্রসাদ দাস ও নুপুর দাস তারা স্বামী-স্ত্রী, তারা সকলেই গুরাপ যাচ্ছিল। অন্য একজন সৃজা ভট্টাচার্য কলেজ ছাত্রী তার বাড়ি ভাস্তারায়।স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ হানিফ বলেন,টোটোতে চালক সমেত সাতজন ছিল।তাদের মধ্যে একটি শিশু তার মা বাবা কলেজ ছাত্রীও ছিলেন।কেউ ডাক্তার দেখাতে কেউ নিজের কাজে যাচ্ছিলেন। বেপরোয়া ডাম্পার টোটোকে পিষে দেয়।চালক বেঁচে গেলেও যাত্রীরা সকলেই মারা যায়।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
স্থানীয়দের আক্ষেপ, সাতটা তরতাজা প্রাণের বিনিময়ে এলাকায় বসল স্পিড ব্রেকার। প্রশাসন আগেই তৎপর হলে বেঘোরে চলে যেত না এতগুলো প্রাণ।
রাহী হালদার