মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘীর বালিয়া বিলের ধার দুর্গাপুজো জেলার অত্যন্ত প্রাচীন দুর্গাপুজোরগুলির মধ্যে অন্যতম। গ্রামীণ এলাকায় এই পুজো হলেও জেলা ছাড়িয়ে মালদা ও বীরভূমের একাধিক জায়গা থেকে দর্শকরা পুজো উপভোগ করতে আসেন।
আরও পড়ুনঃ খাবারের পাতে নয়, দুর্গাপুজোর থিমে এবার ইলিশ মাছ! জেলার বুকে অভিনব মণ্ডপসজ্জা, না দেখলে বড় মিস
advertisement
পুজো কমিটির সদস্যদের কথায়, বর্তমানে অনেকেই ভারত সহ বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা সহ বিভিন্ন জায়গায় যেখানে সতীর ৫১টি খণ্ড পড়েছিল সেখানে যেতে পারেন না। বিষয়টি প্রচুর ব্যয়সাপেক্ষও। তাই সাধারণ মানুষ ও এলাকার মানুষের কথা মাথায় রেখেই আমরা এই চিন্তাভাবনা ফুটিয়ে তুলেছি। আমাদের শহর ছাড়িয়ে প্রত্যন্ত গ্রামের এক পুজো। এখানে আগে থিমের চল ছিল না। সাবেকি প্রতিমাতেই পুজো হত। এই বছর ৫১ সতী পীঠ ফুটিয়ে তুলে সাধারণ মানুষের মন জয় করার চেষ্টা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দেবী সতী দক্ষ রাজার অমতে মহাদেবকে বিবাহ করেছিলেন। প্রতিশোধ নেওয়ার উদ্দেশে একটি যজ্ঞের আয়োজন করেছিলেন দক্ষ রাজা। যজ্ঞের আগুনে আত্মঘাতী হন সতী। ক্রোধে উন্মত্ত হয়ে ওঠেন মহাদেব। পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার ভয়ে ভগবান বিষ্ণু প্রলয় থামাতে সুদর্শন চক্র পাঠিয়ে দেন। দেবীর দেহ ৫১টি খণ্ডে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন জায়গায় পড়ে। এই জায়গাগুলিকে সতীপীঠ বলা হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
৫১ সতী পীঠ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই স্থান প্রত্যেক হিন্দুর কাছে পরম পবিত্রের জায়গা বলে বিশ্বাস করেন অনেকে। ভারত সহ বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কায় এই ৫১টি পীঠ অবস্থিত। এবার সেটিই মুর্শিদাবাদের এক মণ্ডপসজ্জায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আগত দর্শনার্থীরা জানিয়েছেন, সতীর প্রত্যেকটি পীঠ পরম পবিত্র বলে মানা হয়। গ্রামীণ এলাকায় থিমের মধ্যে দিয়ে সেটা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। জেলাবাসীকে তা চমক দিয়েছে।