প্রথমে ভিয়েতনামে অবস্থিত ভারতীয় দুতাবাসে ডেপুটি চান্সলোরের হাত থেকে পতাকা নিয়ে শুরু হয় এই অভিযান। সাইকেলে ভিয়েতনাম জয়ের অন্যতম কাণ্ডারী দেবাশীষ চক্রবর্তীর বয়ানে, ‘‘কখনও হাই ওয়ে আবার কখনও শহর ছাড়িয়ে গ্রাম, একে একে নিন্হ বিন্হ ( ninh binh), বিন্হ (Binh ) ফোঙ নহা, হিউ হয়ে দানাং সমুদ্র সৈকতে শেষ হয় এই অভিযান, যা ভারতীয় ইতিহাসে প্রথম।’’
advertisement
মিস টোকো অজুনগ্লা জমির ভিয়েতনামের ভারতীয় ডেপুটি রাষ্ট্রদূতও জানান, এই প্রথম এমন কোনও অভিযানে সামিল হচ্ছে ভারতীয় দল। ১৯৫৯ সালে দক্ষিণ ভিয়েতনামকে আমেরিকা সেনার হাত থেকে ভিয়েতনামকে মুক্ত করতে ভিয়েতনাম কং সেনা প্রধানের নেতৃত্বে ভিয়েতনামের সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এই লাওস হেকে কম্বোডিয়া পর্যন্ত পাহাড় জঙ্গল কেটে এই পথ তৈরী করেছিলেন হো চি মিন।
আরও পড়ুন: নারকেল তেলেই হবে ম্যাজিক, শুধু মেশান এই জিনিস! রাতারাতি গায়েব মুখের কালো দাগ, নরম তুলতুলে হবে ত্বক
এই রাস্তায় সাইকেলের সাহায্যে চলতো সেনাবাহিনতে থাকা সৈন্যদের অস্ত্র ও খাদ্য সর্বোরাহ। আমেরিকান সেনার হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সেই রাস্তার নাম করণ হয় “হো চি মিন ট্রেইল”। সেই ‘আঙ্কেল হো’র নাম নামাঙ্কিত রাস্তা যা ভিয়েতনাম শহরের মধ্যে পরে ৯০০ কিলোমিটার। সেই পথকেই বেছে নেয় অভিযাত্রীরা। সেখানকার জীবনযাত্রা চাক্ষুস করতে গ্রামের ভিতরে এই অভিযান এক অন্য পাওনা বলে দাবি অভিযাত্রীদের।
এই অভিযানে বিন্হ ( vinh ) শহরে অবস্থিত “খু ডি টিচ কিম লিয়েন” গ্রামে অবস্থিত হো চি মিন এর জন্মভিটে পৌছায় অভিযাত্রীদল। সেখানে কর্মরত অধিকারিরা তাদের সন্মান জানায়। কখনও জঙ্গল পথ আবার কখনও পাহাড়ি চড়াই উৎরাই রাস্তা পারি দিয়ে সাতদিনে শেষ হয় এই সাইকেল অভিযান। সেখানে অভিযাত্রীরা পরিবেশ রক্ষার বার্তা নিয়ে প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে ‘Safe drive save life’ এর প্রচার চালান অভিযাত্রীরা।