অভিযোগ ওঠে বালি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে বারংবার খবর প্রকাশিত করার অপরাধেই খুন হন সুভাষ। সেই ঘটনার আঁচ পরে দেশের বিভিন্ন এলাকার সাংবাদিক মহলে। বিভিন্ন জায়গায় এই ঘটনায় সাংবাদিকরা প্রতিবাদে সরব হন। সেই ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল অভিযুক্তরা। বৃহস্পতিবার রাতে চন্দননগর থানার গোস্বামী ঘাট এলাকায় তিনজন সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করছিল।
আরও পড়ুন: রেকর্ড-রেকর্ড-রেকর্ড! শুরু হতেই তাক লাগিয়ে দিল পদ্মা সেতু! কী হল জানেন?
advertisement
স্থানীয়দের কাছ থেকে সেই খবর পেয়ে সেখানে হানা দেয় চন্দননগর থানার পুলিশ। পুলিশকে বোকা বানাতে তিনজনই নিজেদের মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা বলে পরিচয় দেয়। পাশাপাশি নিজেদের নামও অন্য বলে। এরপর পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ তাঁদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বিহারের বেগুসরাইয়ে সাংবাদিক সুভাষ কুমার মাহাতোকে খুনের কথা স্বীকার করে তাঁরা।
আরও পড়ুন: বড় সিদ্ধান্ত, বিদ্যুতের খরচ কমাতে অভিনব পরিকল্পনা রাজ্যের! সব জেলায় চিঠি
এরপরই তাঁদেরকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতরা বিগত চল্লিশ দিন ধরে একাধিক রাজ্যের স্টেশন চত্বরে ঘোরাঘুরি করেছে। দিন দুয়েক আগে তাঁরা এ রাজ্যের চন্দননগরে আসে। শুক্রবার চন্দননগর থানায় ডিসি চন্দননগর বিদিত রাজ বুন্দেশ বলেন, ধৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশকে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি বিহার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। সেখান থেকে পুলিশ এলে চন্দননগর আদালতের অনুমতি নিয়ে ধৃতদের বেগুসরাইতে নিয়ে যাওয়া হবে।