প্রথা মেনে মাঘ মাসের শেষের দিকে রাইপুরের মোটগোদায় শুরু শনিমেলা। সকাল থেকেই ধর্মরাজের মন্দিরে পুজো দিতে পূর্ণথীদের ভিড়। রাজা নেই, নেই রাজত্বও। তবু ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আজও দক্ষিণ বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের মানুষের কাছে সমান ভাবেই প্রাসঙ্গিক দুই শতাব্দী প্রাচীন মটগোদার শনিমেলা। প্রায় আড়াইশো বছরের পুরানো এই মেলাতে এখন লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রতি বছরই মাঘ মাসের শেষ শনিবার রাইপুরের মটগোদাতে এই মেলা বসে। মেলাটি প্রায় ১৫ দিন ধরেই চলে বলে এলাকার লোকজন জানিয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন : এখানেই আছে রাজবাড়ি, ঐতিহাসিক শিল্প-গ্রাম! তবু কেন বেড়াতে আসেন না কেউ বাঁকুড়ার এই ব্লকে? জানলে কষ্ট পাবেন
জন্ম লগ্ন থেকে, তৎকালীন সময়ে রাজপ্রথা মেনে চলত মেলা।তবে বর্তমানে, মেলাটি আর রাজাদের মেলা হিসেবে পরিচিত নয়। একসময়ের রাজাদের মেলা বর্তমানে পরিণত হয়েছে সর্বজনীন শনি মেলায়। রয়েছে কীংবদন্তী বিশ্বাস। শ্যামসুন্দরপুর গ্রামের ভগবানবাঁধের পাড়ে ধর্মরাজ ঠাকুরের অবস্থান ছিল।
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন“
রাজা ছত্রনারায়ন তুঙ্গদেও পরবর্তীকালে মেদিনীপুরের নেতাই গ্রামের বৈকুণ্ঠ ধীবরকে শনি’দেবতার পুজো করার দায়িত্ব পান। ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১২৪৭ সালে শ্যামসুন্দরপুরের রাজা ছত্রনারায়ন তুঙ্গদেও -এর পুত্র সুন্দরনারায়ন তুঙ্গদেও মটগোদার ক্ষেত্রমোহন পন্ডিতকে ঠাকুরের পুজো করার জন্য জমি দান করেন। এছাড়া ঠাকুরের পুজো করার দায়িত্বও দেওয়া হয়। সেই থেকেই এই পরিবারের সদস্যরাই ধর্মরাজ দেবতার পুজো করে আসছেন।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী





