এদিন ভোরের আলো ফোটার আগেই সকলকে হতচকিত করে দিয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে ২৫ টি হাতির বিশাল দলটি। মুহূর্তেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ধানঘোরি ও ছোলাখালি গ্রামজুড়ে। সদ্য রোয়া ধান জমিতে শুরু হয় হাতিদের তাণ্ডব। বিঘের পর বিঘে ফসল চাপা পড়ে যায় হাতির পায়ের নিচে। ছারখার হয়ে যায় সবকিছু।
আরও পড়ুন: গ্রাহকদের ৫০ কোটি নিয়ে ধাঁ সরকারি ব্যাঙ্কের সিএসপি মালিক! সর্বস্বান্ত কয়েক হাজার
advertisement
এদিকে পেটের দায়ে গরিব কৃষকরা চাষের জমি রক্ষার মরিয়া চেষ্টা করেন। কিন্তু এত বড় হাতির দলের বিরুদ্ধে স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা কিছু করতে পারেননি। ধানঘোরি থেকে ছোলাখালি পর্যন্ত গ্রাম ও চাষের জমিতে দীর্ঘক্ষণ দাপিয়ে বেড়ায় দাঁতালদের এই দলটি। পরে পাশের জঙ্গলে ফিরে যায়।
কৃষকদের অভিযোগ, এত বড় একটি হাতির দল লোকালয়ে ঢুকে পড়লেও বন দফতরের কোনও আধিকারিক বা কর্মীর দেখা মেলেনি। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা ও প্রতিরোধের অভাবে ক্ষতির পরিমাণ আরও বেড়েছে বলে দাবি। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা অবিলম্বে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবি তুলেছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
উল্লেখ্য, ঝাড়গ্রাম জেলায় গত কয়েক মাস ধরেই লাগাতার বেড়ে চলেছে হাতির আক্রমণ। স্থানীয়দের দাবি, জঙ্গলে ঠিকঠাক জল ও খাবার পাচ্ছে না বলেই হাতি লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। এই বিষয়ে বন দফতরের গাফিলতির দিকে আঙুল তুলেছে তারা।। এদিকে চলতি বছর হাতি বারবার লোকালয়ে প্রবেশ করায় আতঙ্কে ভুগছেন জঙ্গল এলাকার বাসিন্দারা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বন দফতরের পক্ষ থেকে একটু নজরদারি চালালেই এই সমস্যার অনেকটা সমাধান হওয়া সম্ভব।