মঙ্গলবার সারারাত নবান্নে কাটিয়ে বুধবার সকালে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, 'উপকূলবর্তী গ্রামগুলিতে জল ঢুকে গেছে। শুধু পূর্ব মেদিনীপুরেই ৫১টি নদীবাঁধ ভেঙেছে। সুন্দরবন গোসাবার গ্রামগুলি প্লাবিত হয়েছে। ২০ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গিয়েছে এখনই। দিঘা, শংকরপুর এলাকা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নন্দীগ্রাম থেকে ফোন পেয়েছি। গ্রামের পর গ্রাম ডুবে গিয়েছে ওখানে। পূর্ব মেদিনীপুরে ৩.৮ লাখ মানুষকে নিরাপদে সরানো হয়েছে।'
advertisement
একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী সকলের কাছে আবেদনের সুরে বলেন, 'গোটা বাংলা এখন দুর্যোগ কবলিত। ভরা কোটালের জন্য বাংলায় বেশি সমস্যা হচ্ছে। আমি সবাইকে বলব, যতক্ষণ না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, ততক্ষণ কেউ প্লাবিত গ্রামে নিজের বাড়িতে ফিরবেন না। প্রশাসন অনুমতি দিলে তবেই বাইরে বার হবেন।' তাঁর কথায়, 'ঘূর্ণিঝড় ইয়াস তো এসেছেই। তার উপর বুধবার ভরা কোটালও চলছে সমুদ্রে। সে জন্যই প্লাবন বেশি হচ্ছে।'
ইতিমধ্যেই প্রতিটি জেলার জেলাশাসকদের সতর্ক করা হয়েছে নবান্ন থেকে। বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসককে। আগে থেকেই আশঙ্কা করা হয়েছিল, ইয়াসের প্রভাবে অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা। আর সেই দুরন্ত ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গেই চিন্তা বাড়িয়েছে বুধবার সকালে বুদ্ধপূর্ণিমার ভরা কোটাল ও পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। আজ সারাদিন বাংলার দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াতে চলেছে প্রবল জলোচ্ছ্বাস। ফলে ইয়াসের প্রবল ধাক্কা না লাগলেও বাংলার বড় অংশ বন্যা কবলিত হয়ে পড়ল।
