৩ বছর আগের এই নৃশংস ঘটনার মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত করছিল সিবিআই৷ ২০২২ সালের ৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় সংঘটিত হয়েছিল অপারাধ৷ এক মদ্যপানের আসরে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে৷ অভিযোগ, ঘটনার পর রক্তাক্ত অবস্থায় নাবালিকাকে ফেলে রাখা হয় রাস্তায়। ৫ এপ্রিল ২০২২ ভোরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে কিশোরীর মৃত্যু হয় বাড়িতে।
advertisement
ঘটনায় মূল অভিযুক্তরা হল সোহেল গয়ালি, প্রভাকর পোদ্দার ও রঞ্জিত মল্লিক, সুরজিৎ রায়, আকাশ বাড়ৈ, সমরেন্দ্র গয়ালি, দীপ্ত গয়ালি ও পীযূষ কান্তি ভক্ত, অংশুমান বাগচী৷ অভিযোগ ওঠে মূল অভিযুক্ত সোহেল গয়ালির জন্মদিনের পার্টিতেই তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়৷ মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়৷ তারমধ্যে এক নাবালক ছিল। সিবিআই সাত জনকে গ্রেফতার করেছিল। রাজ্য পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করেছিল।
আরও পড়ুন: ‘এক মাসের মধ্যে হিন্দি শিখতেই হবে!’ দিল্লিতে আফ্রিকার ফুটবলারকে শাসানি বিজেপি কাউন্সিলরের
৯ এপ্রিল ২০২২ হাসখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করে কিশোরীর পরিবার। প্রথমেই গ্রেফতরা করা হয় মূল সোয়েল গয়ালিকে৷ ১০ এপ্রিল ২০২২ রাতেই সোয়েলকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ ১৩ এপ্রিল ২০২২ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই গভীর রাতে দায়িত্ব হাতে নেয়। শেষ গ্রেপ্তার ২৯ এপ্রিল। মূল অভিযুক্ত সোহেল গয়ালির বাবা সমরেন্দ্র গয়ালি ও তার ঘনিষ্ঠ পীযূষ ভক্তকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। ১৫ এপ্রিল হাঁসখালি থানার আধিকারিকদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই।
সোহেল গয়ালি, প্রভাকর পোদ্দার ও রঞ্জিত মল্লিক 120B, 34, 201, 506, 304(2), 376DA IPC ও POCSO ৬ ধারায় অভিযুক্ত। সুরজিৎ রায় ও আকাশ বাড়ৈ 120B, 34, 506 ও 120B IPC ধারায় অভিযুক্ত। সমরেন্দ্র গয়ালি, দীপ্ত গয়ালি ও পীযূষ কান্তি ভক্ত 506, 201, 120B ও 34 IPC ধারায় অভিযুক্ত। অংশুমান বাগচী 120B, 34 ও 201 IPC ধারায় অভিযুক্ত।
