হাতির এমন তাণ্ডবের সময় একটি বাড়ির ভিতর ছিলেন এক বৃদ্ধা ও তাঁর ছেলে। আতঙ্কে কোনওরকমে প্রাণ বাঁচিয়ে পালাতে সক্ষম হন দু’জনেই। অল্পের জন্য রক্ষা পায় তাদের জীবন। শুধু ঘরবাড়িই নয়, হাতির তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে সবজি চাষের জমিতেও। রাতারাতি নষ্ট হয়ে গেছে কৃষকদের পরিশ্রমের ফসল। গোটা গ্রামজুড়ে আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠা।
advertisement
এই ঘটনায় বন দফতরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, আগাম সতর্কতা ও কার্যকর ব্যবস্থার অভাবেই বারবার হাতির হামলার শিকার হতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের। হাতির হানায় বারবার ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের। আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি জীবন নিয়েও চলছে টানাটানি। মাঝে মাঝে প্রাণ হারাতে হচ্ছে স্থানীয়দের।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এলাকার এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, “রাত মানেই এখন আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভয়ে কেউ বাড়ি থেকে বেরোতে পারছে না। আবার রাতে দেওয়ালের পাশে ঘুমাতেও পারছে না। যদি হাতি দেওয়াল ভেঙে দেয় তাহলে সেই দেওয়ালেও চাপা পড়ে মারা যাওয়ার ভয় রয়েছে। গতকাল রাতেই কোনওক্রমে প্রাণে বেঁচেছেন দুজন।” তাদের দাবি, বন দফতর পুরো বিষয়টিকে ভালভাবে দেখলে এমন সমস্যায় পড়তে হবে না এলাকার মানুষদের।
