মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণাক্রমে ভোল বদলে যাবে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালের। বিভিন্ন বার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন এলাকার বিধায়ক থেকে সাংসদ। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে এবার আরও উন্নততর চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানে তৎপর রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো চিঠিতে এখন আশার আলো দেখছেন এলাকার মানুষ। জেলার কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে মাত্র ৩০টি বেড ছিল। বেশিরভাগ ভবনের অবস্থা ছিল ভগ্নপ্রায় ও জরাজীর্ণ।
advertisement
ফলে বেড সংখ্যা বাড়ানো থেকে কেশপুর হাসপাতালের হাল ফেরানোর দাবি উঠছিল গত কয়েক বছর ধরেই। এনিয়ে সাংসদ দেব এবং বিধায়ক, প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহাও একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছিলেন। অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংসদ দেবকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, কেশপুর হাসপাতালের বেড সংখ্যা ৩০ থেকে ৫০- এ উন্নীত করা হচ্ছে। এই কাজে ব্যয় হবে প্রায় ২৪ কোটি টাকা। একদিকে যেমন খুশির হাওয়া রাজনৈতিক মহলে, তেমনই হাতের কাছেই মিলবে অত্যাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা।
আরও পড়ুনঃ এক পাতাতেই উধাও ডার্ক সার্কেল…! ছোট্ট ঘরোয়া টোটকা জিন্দাবাদ, চাঁদের মতো ঝলঝলে মুখ! পরখ করে দেখুন
প্রসঙ্গত, আজ থেকে এক দশক পেছনে গেলেই দেখা যাবে, সেই অর্থে পরিষেবা মিলত না কেশপুর হাসপাতালে। দিনের পর দিন ভগ্নপ্রায় অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল। বিশেষ কিছু হলেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ভরসা করতে হত মেদিনীপুরের উপর। চিকিৎসার জন্য রোগীকে নিয়ে ছুটতে হত মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। তবে, ২০১৬ সালের পর থেকে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালের উন্নয়নের নির্দেশ দেন। সেইমত আগের তুলনায় পরিষেবা উন্নতি হয়েছে। এখন হাসপাতাল থেকে মিলছে প্রাথমিক চিকিৎসা, বিনামূল্যে ওষুধ।
তবে এবার সেই হাসপাতাল তৈরি হবে আরও উন্নত হাসপাতালে। থাকবে ওটি থেকে অত্যাধুনিক মেশিনপত্র, এমনটাই জানা গিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে। কেশপুরের এক বাসিন্দা বলেন, এখন মোটামুটি পরিষেবা পাওয়া যায়। তবে সম্প্রতি নতুনভাবে হাসপাতাল গড়ে উঠলে আর মেদিনীপুরের উপর ভরসা করতে হবে না। সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সাংসদদেবকে একটি চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছেন, ২৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে হাসপাতাল উন্নতিকরণের জন্য।
শুধু তাই নয়, বেডের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক সৌম্যশঙ্কর ষড়েঙ্গী বলেন, “সম্পূর্ণ নতুন একটি ভবন তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যেখানে নতুন ইমারজেন্সি ওটি কমপ্লেক্স, লেবার রুম-সহ ৫০ বেড রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে এখন শুধু নরমাল ডেলিভারি হয়। নতুন ভবন তৈরি হলে যাতে সিজারের ব্যবস্থাও হয়, আমরা সেই প্রস্তাব দেব।” স্বাভাবিকভাবে মুখ্যমন্ত্রীর এই ভাবনা এবং এলাকার বিধায়ক ও সাংসদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার মানুষ।
রঞ্জন চন্দ