গভীর রাতে মোবাইল দোকানের শাটার কেটে দু:সাহসিক চুরি। পূর্ব বর্ধমানের গলসি বাজারে শনিবার মধ্যরাতে এই চুরির ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
দোকানের মালিক সেখ সাদ্দাম জানান, এরকম হবে ভাবতে পারিনি। রাতে আমাকে বাজার থেকে খবর দেওয়া হয়।এসে দেখি চোরেরা দোকানে লুঠপাট চালিয়েছে। তাঁর দাবি, ১৫০-র বেশি মোবাইল ছিল দোকানে। সবই লুঠ করেছে দুষ্কৃতীরা।
advertisement
আরও পড়ুন- সাংস্কৃতিক ধারা বহমান রাখতে অভিনব আয়োজন… কিছুক্ষণের অভিনয়ে বাজিমাত
অন্যদিকে, এই ঘটনায় স্থানীয় দোকানদাররা ক্ষুদ্ধ। স্থানীয় বাজার সমিতির সম্পাদক বজলুর রহমান মন্ডল জানান, আমরা আতঙ্কিত। যেভাবে প্রকাশ্য রাস্তায় জাতীয় সড়ক এবং বাজারে এত আলোর ভেতরে চুরি হল তা ভাবা যায় না। আমরা প্রশাসনের কাছ থেকে সঠিক নিরাপত্তা দাবি করছি।
ব্যবসায়ী শেখ জাহাঙ্গীর আলম জানান, ডিসপ্লেতে থাকা সব মোবাইল খোওয়া গেছে। ভিতরে থাকা দোকানদাররা আরো শঙ্কিত। আমরা আশা করব এই নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে কিছু করবে। এদিকে গলসি থানার পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।
রবিবার সকালে চুরির ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই পুলিশ কে খবর দিলে গলসি থানার অফিসার ইনচার্জ অরুন সোম সহ পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ। যদিও বেশ কিছু সিসি ক্যামেরা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে খারাপ বা অচল হয়ে পড়ে আছে বলেও স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন। তারা নিরাপত্তার দাবিও তুলছেন।
আরও পড়ুন- ঘুম পাড়ানি গুলি করেও কাবু করা গেল না জিনাতকে! নাকানিচোবানি খেল বন দফতর
অন্যদিকে খোদ বাজারের মধ্যে মেন রোডের ওপর দোকানে এতবড় চুরির ঘটনা ঘটল কীভাবে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে ব্যবসায়ী থেকে স্থানীয় এলাকাবাসীরা। অনেকের অভিযোগ, বাজার কমিটির রাত পাহারার ব্যবস্থা আছে এলাকায়। বাজারের মধ্যে রাস্তার সামনে দোকান, সারারাত গাড়ি চলাচল করে এই রাস্তা দিয়ে। তারপরেও কিভাবে এই চুরির ঘটনা ঘটে গেল! স্বাভাবিকভাবেই শতাধিক মোবাইল ফোন চুরি যাওয়ার ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।