ঠিক কী হয়েছিল? জানা গিয়েছে, বহু শ্রমিক তখন খনির নিচে কাজ করছিলেন। আর সেই সমস্ত খনি শ্রমিকদের উপরে তুলে আনার জন্য যে লিফটিং সিস্টেম অর্থাৎ ডুলি ব্যবহার করা হয়, সেখানেই দেখা দেয় সমস্যা। ডুলিটি কাজ করা বন্ধ করে দেয়। ডুলির ব্রয়লারে যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে এই সমস্যা দেখা দেয়। ফলে খনির নিচে আটকে পড়েন প্রায় ১১২ জন শ্রমিক। যাদেরকে বেশ কয়েক ঘণ্টা খনির নিচেই আটকে থাকতে হয়েছিল।
advertisement
আরও পড়ুন Medical Students: পশ্চিমবঙ্গ থেকে এত পড়ুয়া মেডিক্যাল পড়তে কেন যান বাংলাদেশ? জানা গেল আসল কারণ
যদিও এই ঘটনার পরে বিকল্প একটি ব্রয়লারের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু সেই ব্রয়লারের স্টিম তৈরি করতে প্রায় ঘণ্টা চারেক সময় লাগে। ফলে এতটা দীর্ঘ সময় খনির নিচে ওই বহু সংখ্যক শ্রমিককে অপেক্ষা করতে হয়েছে। স্টিম তৈরি হওয়ার পর ওই লিফটিং সিস্টেম চালু করা যায়। তারপরে নিচে থেকে তুলে আনা সম্ভব হয়েছে শ্রমিকদের। আর এই ঘটনায় শ্রমিক মহলে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা ফের একবার নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।
ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে ছুটে আসেন কোলিয়ারির ম্যানেজার। তিনি জানিয়েছেন ডুলির ব্রয়লারের ইনজেকশনে সিস্টেমে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেওয়ার কারণেই শ্রমিকদের খনির নিচে আটকে পড়তে হয়েছিল। বিকল্প ব্রয়লারের ব্যবস্থা হলেও, তা চালু করার জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে শ্রমিকদের। তবে সমস্ত শ্রমিককে সুস্থ স্বাভাবিক অবস্থায় খনি গর্ভ থেকে উপরে তুলে আনা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু এই ঘটনার পর ফের একবার খনি শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিভিন্ন মানুষ।
নয়ন ঘোষ





