ধৃতদের বিরুদ্ধে ১৮৮, ৩৭৯, ৪১১, ৩৪ আইপিসি ও ১১(১) প্রিভেনশন অফ ক্রুয়েলটি টু অ্যানিম্যালস ধারায় মামলা রুজু করে। ধৃত চারজনকে সোমবার দুপুরে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন কান্দি মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক সমস্ত কাগজপত্র দেখে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে।
advertisement
তবে এই উট উদ্ধারের ঘটনা প্রথম নয়। এর আগে নভেম্বর মাসে কান্দি থানার মহলন্দি থেকে উদ্ধার হয় উট। ডিসেম্বরে লক্ষাধিক টাকা খরচ করে রাজস্থানে ফিরিয়ে দেওয়া হয় সেই উটগুলি। কান্দি থানার অন্তর্গত মহালন্দীর চাঁদপুর এলাকার বাসিন্দা আল্লারাখা সেখ ১৬টি উট এনে হাজির হন হঠাৎই মহালন্দী এলাকায়। রাজস্থান থেকে নবাবের জেলায় উট নিয়ে এসে সেটা চড়াদামে বিক্রির উদ্দেশ্য ছিল। আর তখন পুলিশ খবর পায়।
গত ২০ নভেম্বর রাতে পুলিশ খবর পেয়ে আল্লারাখা সেখকে গ্রেফতার করে। ধৃতের বিরুদ্ধে ১৮৮, ৩৭৯, ৪১১, ৩৪ আইপিসি ও ১১(১) প্রিভেনশন অফ ক্রুয়লটি টু অ্যানিম্যালস ধারায় মামলা রুজু করে ২১ নভেম্বর দুপুরে কান্দি মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। ২১ নভেম্বর পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিলেও পরে জামিনে মুক্তি দেয় কান্দি আদালত। পরে আদালতের নির্দেশে লক্ষাধিক টাকা খরচ করে রাজস্থানে ফিরিয়ে দেওয়া হয় উটকে। কিন্তু আবার ফের উদ্ধার হল উট। এত উট নিয়ে আসা হয় কেন মুর্শিদাবাদে? তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ প্রশাসন।
কৌশিক অধিকারী