ইমন শুধুমাত্র মেয়েদের রক্ষাকবচ তৈরি করেছে তাই নয়, বিশ্ব রেকর্ডের থেকে কম সময়ে বিজ্ঞানে ‘প্রিয়ডিক টেবিল’ ঝর ঝর করে বলতে পারে। ইমনের মা বাবা জানান, ইমন ছোট থেকেই বিজ্ঞানমনস্ক। খেলার ছলে সে বিভিন্ন বিজ্ঞানের জিনিস তৈরি করে থাকে।
আরও পড়ুন: পাখিদের জন্য তৈরি হল বাসা, যেমনটা ওরা পছন্দ করে, করে দেখালেন যুবক
advertisement
প্রসঙ্গত, কয়েক বছর আগে ছোট্ট ইমন অনু-পদার্থবিজ্ঞান বিভিন্ন অনুর ধারণাকে কাজে লাগিয়ে শিবলিঙ্গের আকৃতির চার্ট তৈরি করে বীরভূমের আহমেদপুরের একটি জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে তুলে দিয়ে স্বীকৃতি লাভ করেছিল। এরপরে এশিয়াটিক সোসাইটিতে আয়োজিত কর্মশালায় কনিষ্ঠতম অংশগ্রহণকারী হিসাবে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে। পাশাপাশি বিজ্ঞান বিষয় নিয়ে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে নিজের বক্তব্য রাখে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে কীভাবে ব্যবহার করা হয় এই যন্ত্র!
ইমন জানায়, “দু’টি অ্যাপ, একটি ‘ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন’ এবং দু’টি ‘ডিভাইস’ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ব্যবস্থাটি। কেউ কোথাও বিপদে পড়লে ওই ব্যবস্থার সাহায্যে ক্ষুদ্রাকৃতি যন্ত্রের মাধ্যমে পুলিশের সাহায্য পাওয়া যাবে। যন্ত্রটির ‘ইমার্জেন্সি বাটনে’ চাপ দিলে বিপদগ্রস্ত ব্যক্তি যেখানে আক্রান্ত সংশ্লিষ্ট সেই এলাকার থানায় বিপদ সঙ্কেতের অ্যালার্ম বেজে উঠবে। থানার কর্তব্যরত অফিসার কম্পিউটারে ‘ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনটি’ খুলে বিপদগ্রস্ত ব্যক্তির অবস্থান দেখতে পাবেন।”
কর্মশালার কনিষ্ঠতম সদস্য হলেও, অনুরাগই প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন দেশ ও বিদেশের খ্যাতনামা বিজ্ঞানীরা। তাই প্রত্যন্ত লাভপুরের গর্বের সন্তান অনুরাগকে সংবর্ধনা দিতে পেরে লাভপুর ব্লক প্রশাসনও খুশি। বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ বলেন, “অনুরাগ আমাদের গর্ব। আগামীতে ওকে পড়াশোনার যাবতীয় সাহায্য করতে আমরা প্রস্তুত।”
সৌভিক রায়





