সরকারি উদ্যোগে মধু চাষ করে হাসি ফুটছে সুন্দরবনের গরিব মউলেদের মুখে। জঙ্গলে মাছ-কাঁকড়া ধরে বা মধু সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করেন সুন্দরবনের বহু মানুষ। কিন্তু সেই কাজে প্রতি পদে রয়েছে ঝুঁকি। জঙ্গলে গিয়ে বাঘের আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। সুন্দরবনবাসীর জঙ্গল নির্ভরতা কমাতে দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন। বন দফতর চেষ্টা করছে, সুন্দরবনবাসীকে বিকল্প পেশার সন্ধান দিতে। কুলতলির মৈপিঠ এলাকায় যেমন মৌমাছি পালনের মাধ্যমে গ্রামের মানুষকে স্বনির্ভর করে তোলা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: আদানি গ্রুপকে কত টাকা দিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক? মুখ খুললেন SBI-এর চেয়ারম্যান
এই এলাকা থেকে বহু মানুষ একসময় জঙ্গলে যেতেন মধু সংগ্রহ করতে। সেই কাজ করতে গিয়ে বিপদেও পড়তে হয়েছে একাধিক বার। বাঘ-কুমিরের আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে অনেকের। তবে বর্তমানে বন দফতরের সহায়তায় ঋণ মিয়ে মৌমাছি পালন করে স্বনির্ভর হয়ে উঠেছেন অনেকে। তাঁদের দাবি, আগের থেকে নতুন পদ্ধতিতে চাষ করে আয় হচ্ছে বেশি। আর জঙ্গলমুখী হতে চান না বলেই জানান তাঁরা।
আরও পড়ুন: আমাদের দেশ থেকে কি আয়কর ব্যবস্থা বাতিল হয়ে যেতে পারে? কী জবাব দিল সরকার?
স্থানীয় বাসিন্দা দীপক মণ্ডল বলেন, “৪০ জন মিলে এই কাজ শুরু করেছিলাম। এখন ১০০র বেশি মানুষ কাজ করছি। আমরা চেষ্টা করছি, যারা ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গলে যান, তাঁদের সকলকে নিয়ে এসে এই কাজে যুক্ত করতে। ইতিমধ্যে বাঘে আক্রান্ত পরিবারের সদস্যরাও আমাদের সঙ্গে কাজ করছেন।” তিনি জানান, আগে জঙ্গল থেকে মধু এনে স্থানীয় ভাবে বিক্রি করা হতো। তাতে আয় ছিল কম। তবে বর্তমানে ফ্লিক কার্ট, অ্যামাজন, বিশ্ব বাংলার মাধ্যমেও এই মধু বিক্রি হচ্ছে। ফলে আয়ের পরিমাণ বেড়েছে অনেকটাই।
সুমন সাহা