স্থানীয় বাসিন্দারা বট এবং অশ্বথ গাছের বিবাহের অনুষ্ঠানের স্বাক্ষী থাকলেন। বিয়ের সমস্ত রীতিনীতি মানার পর সেখানে ভুরিভোজের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেই ভুঁড়িভোজে ছয় থেকে ৭০০ স্থানীয় বাসিন্দা অন্ন গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: ঘুমিয়ে কেন স্বপ্ন দেখি আমরা…? ‘আসল’ কারণ কল্পনাও করতে পারবেন না! চমকে দেবে বিশেষজ্ঞের মত
advertisement
জয়কৃষ্ণপুরে রাস্তার ধারে একটি প্রাচীন বটগাছ ছিল। সেই বটের ছায়ায় বসে শীতল হতেন গ্রামবাসীরা। এই বটগাছের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছিল গ্রামের মানুষের আবেগ। পরে রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য সেই বটগাছ কাটা পড়ে।
বটগাছ কাটা পড়ার পর, গ্রামের মানুষজন খুবই কষ্ট পায়। এরপর স্থানীয় বাসিন্দা কালীপদ সামন্ত, কানাইলাল শাঁখারি ও বেশকিছু স্থানীয় বাসিন্দা উদ্যোগী হয়ে নতুন করে বটগাছ বসানোর সিদ্ধান্ত নেন।
এবার বটগাছের সঙ্গে একটি অশ্বথ গাছের চারা রোপণ করা হয়। সেই গাছ বড় হয়ে উঠলে তাদের বিবাহ দেওয়ার আয়োজন করা হয়। সেই বিবাহ উপলক্ষ্যে এত মানুষের আগমন হয়েছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয় স্কুলশিক্ষক সুজিত কুমার ধাড়া। তিনি আরও জানিয়েছেন গাছের বিবাহ দিয়ে শুধুমাত্র তাঁরা লৌকিক আচার পালন করেননি। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে গাছ বাঁচানোর বার্তাও দিয়েছেন।
নবাব মল্লিক