জয়নগরে সিংহদ্বার জমিদার বাড়ি বলতে লাল দত্ত বাড়ি ও সাদা দত্ত বাড়ি। দুর্গা পুজোরয় এই সিংহদ্বার দিয়ে শুধুমাত্র দত্তদের পরিবারের লোকজন ও ব্রাহ্মনরাই যাতায়াত করতে পারত এক সময়ে, এছাড়া বাইরের কেউ প্রবেশ করার অনুমতি ছিলনা, জমিদারিত্ব হারিয়েছে দত্ত পরিবার তাই এখন জন সাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সিংহদ্বার।
আরও পড়ুন: এসডিও অফিসের কাজ সামলে প্রতিমা তৈরির নেশায় মজেছেন গোকুল
advertisement
এই পুজো শুরু হয়ে ছিল ১৮৮৯ সালে, এই বছরের ১৩৫তম বর্ষ পর্দাপন করেছে এমনটাই বক্তব্য দত্ত পরিবারের সদস্যদের। জমিদার আমলে ১০ দিন ধরে দুর্গা পুজো চলত।মহালয়ার পরের দিন থেকে মায়ের বোধন শুরু হতো, কিন্তু এখন পঞ্চমীর দিন থেকে পুজো শুরু হয়, আগে মায়ের বোধনের দিন ও সন্ধ্যা আরতির সময়ে গাদা বন্দুকের কার্তুজ ফাটিয়ে জানান দেওয়া হত,আশে পাশে পুজো মণ্ডপে বা বনেদি বাড়িতে ঠিক সেই সময় থেকে সকল মণ্ডপে বোধন বা কলাবৌ স্নান, সন্ধ্যা আরতি শুরু হত, আর এখন টোটা বন্দুক কার্তুজ ফাটিয়ে জানান দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: পুজো কার্নিভাল এবার বারুইপুরেও
এছাড়া এখানে জন্ম অষ্টমীতে গরাণ কাঠ পুজো করে কাঠামোতে দেওয়া হয়। সেই রীতি এখন পর্যন্ত চলে আসছে, বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো যে মজিলপুর এলাকায় অর্থাৎ জয়নগর এলাকায় যতো পুজো মণ্ডপ আছে বা বনেদি বাড়ির পুজো আছে তারা ঠাকুর বিসর্জনের আগে এই দত্ত জমিদারদের উঠান থেকে ঠাকুর ঘুরিয়ে নিয়ে গিয়ে বিসর্জন করে এখন এই নিয়ম মেনে আসছে সকল পুজো মণ্ডপ।
জমিদার বাড়ি এখন ভগ্ন দশায় পরিণত হয়েছে, জমিদারিত্ব শেষ জরাজীর্ণ বাড়ি ও ঠাকুর দালানে চারিপাশে গাছ গাছালি আগাছাদের আশ্রয় স্থল হয়ে উঠেছে, আর এই জমিদার দত্ত বাড়ির বেশির ভাগ বংশধর কার্মের তাগিদে কলকাতা সহ বিদেশে পাড়ি দিয়েছে, পুজোর সময়ে দত্ত পরিবারের সদস্যরা কলকাতা ও বিদেশ থেকে ফিরে আসেন পুজোয় অংশগ্রহণ করতে।
সুমন সাহা