সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চল নামখানার হরিপুরে এই স্কুলটি ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় । ২০১৩ সালে এই স্কুল উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে উন্নীত হয় । বর্তমানে এই স্কুলের ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ৮৩০ জন । তবে শিক্ষকের অভাবে পড়াশোনা প্রায় বন্ধ তাদের ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাজ্য সরকারের শিক্ষা দফতরের উৎসশ্রী পোর্টাল চালু হওয়ার পর থেকে একের পর এক শিক্ষক স্কুল থেকে চলে যাচ্ছে । সম্প্রতি উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে মাধ্যমিক স্তরের ইংরেজি, ইতিহাস, শারীরশিক্ষা,জীবনবিজ্ঞান,ভূগোল ও ভৌতবিজ্ঞানবিভাগের মোট আট জন শিক্ষক বদলি হয়েছেন । গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে মাধ্যমিক স্তরে ইংরেজি ও ইতিহাস বিষয়ে দুইজন শিক্ষক বদলি হয়ে যান, নভেম্বর মাসে ইংরেজি বিষয়ে একজন শিক্ষক। এ বছর এপ্রিল মাসে শারীরশিক্ষা বিষয়ে একজন, এবং চলতি মাসে জীবনবিজ্ঞান,ভূগোল, ইতিহাস এবং ভৌত বিজ্ঞান বিষয় মিলিয়ে মোট চার জন শিক্ষক বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যান। বর্তমানে এই স্কুলে শিক্ষক মাত্র ৫ জন এবং দুইজন পার্শ্বশিক্ষক আছে ।
advertisement
আরও পড়ুন : পুষ্পবৃষ্টিতে মায়ের কোলে নার্সিংহোম থেকে বাড়ি গেল সিউড়ির প্রথম টেস্টটিউব শিশু
আরও পড়ুন : ছুটির বিকেলে দিঘার সৈকতে জীবন্ত ডলফিন, পর্যটকদের মধ্যে সেলফি তোলার হিড়িক
মাধ্যমিক স্তরে জীবনবিজ্ঞান,গণিত, ইতিহাস এবং বাংলা বিভাগের কোনও শিক্ষকই নেই । স্কুলে হাতে গোনা এই কয়েকজন শিক্ষককে সামলাতে হয় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ক্লাস । এ নিয়ে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক প্রহ্লাদ চন্দ্র ঘড়ুই বলেন, " স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের অনুপাতে শিক্ষক নেই । এইভাবে স্কুল চালানো সম্ভব নয়। আমরা চরম সঙ্কটের মধ্যে আছি । এই স্কুলে আমি ১৯৯৭ সাল থেকে আছি ৷ এমন কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি কোনওদিন হতে হয়নি । ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জানানো হয়েছে । এখন কবে এই সমস্যার সমাধান হয় সে দিকে তাকিয়ে আছি আমরা ।" স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি অসীম গিরি বলেন "আমরা সরকারের দিকে তাকিয়ে আছি ৷ আমরা কবে শিক্ষক পাব? শিক্ষক না পেলে ছাত্রছাত্রীদের অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। এ বছর মাধ্যমিকের ফলাফলও সে কারণে খারাপ হয়েছে। শিক্ষক সমস্যা না মিটলে ছাত্রছাত্রীরা খুবই অসুবিধার সম্মুখীন হবে। "
(নবাব মল্লিক)





