জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে দিঘীর উন্নয়নয়ের পিছনে। আমূল বদলে ফেলা হয়েছে দিঘীটিকে। বর্তমানে চারিদিকে সুসজ্জিত ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে। পর্যটকদের থাকার জন্য তৈরি করা হচ্ছে কটেজ। চলছে সৌন্দর্যায়নের কাজ। পানীয় জলের সুলভ ব্যবস্থা করতে বসানো হয়েছে নলকূপ।
এ ছাড়াও সমগ্র দিঘীটিকে ঘিরে ফেলতে করা হয়েছে নেট ফেন্সিং। এ নিয়ে বিধায়ক ড: অলক জলদাতা জানিয়েছেন প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী দিঘীর চারিদিকে ফেন্সিং এবং বিউটিফিকেশানের কাজ শেষ হয়েছে। গড়ে তোলা হয়েছে ইকো ট্যুরিজম পার্ক। ভবিষ্যতে দিঘীর মধ্যে সুন্দরবনের ঐতিহ্যবাহী গাছ সুন্দরী, গরাণ, গেওয়া সহ একাধিক ম্যানগ্রোভ গাছে বসিয়ে ছোট ব্যোট্যানিক্যাল গার্ডেন তৈরীর পরিকল্পনা রয়েছে। যাতে পর্যটকরা এসে সুন্দরবনের গাছ সম্পর্কে সম্যক ধারণা পান। এ ছাড়াও দিঘীর মধ্যে বোটিং করার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সমস্ত কিছু ঠিক থাকলে আগামী ৩ বছরের মধ্যে এই দিঘীর আমূল পরিবর্তন ঘটবে। তবে পর্যটকরা এখন থেকেই আসতে শুরু করেছেন এই দিঘীতে। চাপ বাড়তে শুরু করেছে রায়দিঘী দিঘী সংলগ্ন হোটেলগুলিতে। আর যা নিয়ে নতুন করে আশায় বুক বাঁধছে রায়দিঘী।
advertisement
নবাব মল্লিক