দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমায় ম্যানগ্রোভ ধংস ঠেকাতে কাজ করছে নজরদারি কমিটি। কোথাও সুন্দরী, গড়ান, গেঁওয়ার মত ম্যানগ্রোভ গাছ কাটা হচ্ছে কিনা তা লক্ষ্য রাখছে। এতে আগের থেকে বেশ কিছুটা সচেতন হয়েছেন গ্রামবাসীরা। যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, বড্ড দেরি হয়ে গিয়েছে। এর পরিণতি শেষ পর্যন্ত কী তা সত্যি জানা নেই!
advertisement
আরও পড়ুন: মায়ের স্মৃতিতে আস্ত বন তৈরি করে ফেলল ছেলে!
ধীরে ধীরে ধ্বংস হচ্ছে সুন্দরবনের নদী উপকূলীয় অঞ্চলের ম্যানগ্রোভ। কাঠ পাচারকারীরা তো আছেই, সেইসঙ্গে প্রকৃতির রুদ্র রূপও শেষ করে দিচ্ছে ম্যানগ্রোভ বনভূমি। তাছাড়া সুন্দরবনের বহু মানুষ এখনও ম্যানগ্রোভ বাঁচানোর বিষয়ে ততটাও সচেতন নন। তাঁরা শত নিষেধ সত্ত্বেও যখন তখন গাছ কেটে ফেলেন। এতে যে তাঁদের নিজেদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে তা বোঝেন না।
সুন্দরবনের পাথরপ্রতিমা ব্লকের ১৫ টি পঞ্চায়েতের নদী উপকূলে রয়েছে ছোট বড় ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল। যা দ্বীপগুলিকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করে। কিন্তু আয়লা এবং তারপর আমফান, ইয়াসের মত একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে এই ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের। তার পরেও দেখা যাচ্ছে এখানকারর দুর্বা চটি পঞ্চায়েতের পশ্চিম সুরেন্দ্রনগর গ্রামের পশ্চিমের সপ্তমুখীর জেমস আইল্যান্ড বনভূমি ও দক্ষিণ চড়া এবং চুনপিড়ি বনভূমি, গোপালনগর পঞ্চায়েতের হরে কৃষ্ণপুর গ্রামের শেলে মারি ও সপ্তমুখী নদীর সংযোগস্থলের বড় ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চগুলিও কিছু অসাধু মানুষের জন্য ধ্বংসের মুখে।
নিজের সুবিধার্থে কিছু অসাধু ব্যক্তি কাঠ কেটে দিনের পর দিন জঙ্গল ফাঁকা করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ। এই নিয়ে ম্যানগ্রোভ নজরদারি কমিটির সদস্যরা জানান, সুন্দরবনকে রক্ষা করতে হলে জঙ্গল কাটা বন্ধ করতে হবে। তার জন্য কারণে সমাজের সমস্ত স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। ওই বনাঞ্চলকে রক্ষা করার জন্য স্থানীয় বিধায়ক এবং বনবিভাগের সঙ্গে বিস্তারিতভাবে আলাপ আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা।
নবাব মল্লিক