সুন্দরবনের ভেতরে ঢুকে হিংস্র বাঘ, কুমির, সাপের মুখ থেকে জীবনের বাজি রেখে কাঁকড়া সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন। সংগ্রহ করা এই কাঁকড়া বাজারে বিক্রি করেই তাদের সংসার চলে। ছোট ছোট ডিঙি নৌকায় করে চার-পাঁচ জনের একটি দল প্রায় এক মাসের খাবার নিয়ে বনের ভেতরে গিয়ে, কাঁকড়া সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন। গত কয়েক বছরে করোনা মহামারীর কারণে কাঁকড়ার দাম তলানিতে গিয়ে থেকে ছিল। ফলে মাথায় হাত পড়েছিল প্রত্যন্ত এলাকার অসহায় এই মানুষদের। করোনার কারণে ভারত থেকে চিন, নেপাল ও অন্যান্য দেশেও কাঁকড়া রফতানি বন্ধ হয়ে যায়। বহু মানুষ খাওয়ার তালিকা থেকে সরিয়ে রাখেন কাঁকড়াকে।
advertisement
আরও পড়ুন: বন্দে ভারতের খাবারে ফিস ফ্রাইয়ের আকার দেখলে চোখ কপালে উঠবে! নেটপাড়ায় শোরগোল
ফলে বাজারে চাহিদা অনেকটাই কমে গিয়েছেল। কষ্ট করে ধরে নিয়ে আসা কাঁকড়ার দাম পাওয়া যাচ্ছিল না বিক্রি করে। যেখানে প্রতি কেজি কাঁকড়া ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা করে বিক্রি হয়, সেই কাঁকড়ার দাম কমে দাঁড়িয়ে ছিল ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার নিচে। এ বছর শীত পরতেই আবারও চাহিদা বাড়ায় কিছুটা হলেও কাঁকড়ার দাম পাচ্ছেন মৎস্যজীবীরা। বহু পর্যটকরা সুন্দরবন ভ্রমণে এসে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন কাঁকড়া। সব মিলিয়ে কিছুটা হলেও পরিস্থিতির বদল ঘটেছে প্রত্যন্ত সুন্দরবনের এই অসহায় জল জঙ্গলে বসবাস করা মানুষদের জীবনে। তাই জীবন বাজি রেখে এই শীতের মরশুমে কাঁকড়ার বিক্রি করে বাড়তি কিছু রোজগারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মৎস্যজীবীরা।
রুদ্র নারায়ণ রায়