পুলিশ ও হ্যাম রেডিও-র সহযোগিতায় অবশেষে তাঁর পরিবারের খোঁজ মিলেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয় দিলীপকে। সোমবার বিকেলে ক্যানিংয়ের রেল স্টেশনে ইতস্তত ঘুরছিলেন ওই যুবক। ওই যুবকের চেহারা ও কথাবার্তা দেখে সন্দেহ হয় কর্তব্যরত আরপিএফ পুলিশকর্মীদের। তাঁকে নিজেদের অফিসে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তাঁরা। পুলিশকর্মীরা বুঝতে পারেন, যুবকটি সামান্য মানসিক ভারসাম্যহীন। আর সেই কারণেই বাড়ি থেকে দিকশূন্যহীন হয়ে বেড়িয়ে পড়েছিলেন।
advertisement
আরও পড়ুন: বিডিওর নির্দেশে হল সভা, আবাস যোজনা নিয়ে বর্ধমানে বিরাট ঘটনা
এর পরেই রেল পুলিশের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় হ্যাম রেডিও ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিও ক্লাবের সঙ্গে। পাশাপাশি মিজোরাম এলাকাতেও স্থানীয় থানায় খোঁজখবর শুরু করেন পুলিশকর্মীরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিবারের খোঁজ মেলে। মণিপুর ইস্ট এলাকার বাসিন্দা বলে জানা যায়। গত বছর ৯ ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিল সে। পরিবারের সদস্যরা খোঁজ না পেয়ে ১২ ডিসেম্বর স্থানীয় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন।
আরও পড়ুন: বীরভূমে উধাও একের পর এক টোটো, জালে ৩ গুণধর ধরা পড়তেই ফাঁস রহস্য!
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দিলীপ বোটানিতে মাস্টার ডিগ্রির পাশাপাশি পিএইচডি করেছে। চাকরির জন্য চেষ্টা করছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চাকরি না মেলায় মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। তাঁর ডান হাত প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয়। এর পরেই মানসিক অবসাদের জেরে বাড়ি থেকে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যায় সে। শেষ পর্যন্ত রেল পুলিশের তৎপরতায় তাঁর খোঁজ মেলায় খুশি পরিবারের সদস্যরা। আর এই যুবককে পরিবারের হাতে তুলে দিতে পেরে খুশি আরপিএফ পুলিশকর্মীরাও।
সুমন সাহা