সূত্রের খবর দিন তিনেক আগে কাকদ্বীপে পেটনের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় এফবি রাজলক্ষী নামের একটি ট্রলারের মাঝি। কিন্তু মাছ ধরতে যেতে চাননি পেটন দাস। সমুদ্রে লাগাতার ট্রলারডুবির কারণে ওই মৎস্যজীবী ভীত হয়ে পড়েছিলেন। সেকারণে ওই ট্রলারের মাঝি ভীত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিরাট সংবাদ! সুরাপ্রেমীদের আর দুশ্চিন্তার কিছু নেই, বাড়ছে না মদের দাম!
advertisement
মাছ ধরতে আর সমুদ্রে পাড়ি দিতে চাননি তিনি। এই খবর পেয়ে এফবি রাজলক্ষ্মী নামক ট্রলারের মাঝি মারতে মারতে ওই মৎস্যজীবীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ ওই মৎস্যজীবীর পরিবারের লোকজনের। সে সময় মাঝির সঙ্গে আরও দুই মৎস্যজীবী ছিলেন বলে খবর।এরপর ওই মৎস্যজীবীকে ট্রলারে বেঁধে রেখে মারধর করা হয় বলে খবর। মারধরের পর মাঝ নদীতে ওই মৎস্যজীবীকে ফেলে দেওয়া হয়। এর ফলে ওই মৎস্যজীবীর মৃত্যু হয়। এরপর ওই ট্রলারটি ফিরে আসলেও খোঁজ পাওয়া যায়নি পেটন দাসকে।
আরও পড়ুন: দিঘা নিয়ে বিরাট ঘোষণা মমতার, কলকাতা থেকে যাচ্ছে বিশেষ দল
পেটন দাসের খোঁজে বিভিন্ন যায়গায় খোঁজখবর চালায় পেটন দাসের পরিবারের লোকজন। এরপর হঠাৎই পেটন দাসের পরিবারের লোকজন জানতে পারেন সাগরের সুমতিনগর এলাকায় মুড়িগঙ্গা নদীর চর এক ব্যক্তির দেহ পাওয়া গিয়েছে। এরপর তারা ওই ব্যক্তির দেহকে পেটন দাসের দেহ বলে শনাক্ত করেন। এই ঘটনায় এফবি রাজলক্ষ্মী ট্রলারের মাঝির বিরুদ্ধে কাকদ্বীপ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের পরিবারের লোকজন। ঘটনায় দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা। বুধবার পেটন দাসের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হবে কাকদ্বীপ পুলিশ মর্গে। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে কাকদ্বীপ থানার পুলিশ।
নবাব মল্লিক






