ফলতার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে হুগলি নদী। সেই নদী এখন ভয়াল রূপ ধারণ করে পার্শ্ববর্তী গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। গ্রামবাসীদের একের পর এক জমি চলে গেছে নদীগর্ভে। গ্রামের মধ্যে অবস্থিত তারাগঞ্জ জেলেপাড়ার শিশু শিক্ষাকেন্দ্রটিও নদীতে তলিয়ে যাওয়ার মুখে। পাড় ভাঙতে ভাঙতে শিশু শিক্ষাকেন্দ্রটি একেবারে নদীর তীরে এসে পৌঁছেছে। এদিকে এই শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে শতাধিক ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে নদী বাঁধ ভেঙে যেকোনও মুহূর্তে তারাগঞ্জ জেলেপাড়া শিশু শিক্ষাকেন্দ্রটি তলিয়ে যেতে পারে নদীগর্ভে। এই অবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে নিত্যদিন চলছে স্কুলের পঠনপাঠন।
advertisement
আরও পড়ুন: আর খড়্গপুর ঘুরে নয়, এবার ট্রেনে চড়ে সরাসরি হাওড়ায় আসতে পারবে বাঁকুড়ার মানুষ
ওই শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা জানিয়েছেন, ভরা কোটালের সময় নদী দিয়ে জাহাজ গেলেই জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয় গোটা এলাকা। সেই সময় ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে স্কুলের দোতালায় পঠনপাঠনের কাজ করতে হয়। নিজেদের সমস্যার কথা জানিয়ে একাধিকবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হন তাঁরা। কিন্তু আজ পর্যন্ত নদী বাঁধ মেরামতের কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ।
গ্রামের বাসিন্দাদেরও অভিযোগ, ভোটের সময় নেতারা গ্রামে এলেও এই ভাঙন সমস্যা নিয়ে কেউ কোনও কাজ করেনি। এই নদীভাঙন সমস্যা নিয়ে ফালতা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গির খান বলেন, ফলতা বিধানসভা নদী তীরবর্তী এলাকা। বিগত কয়েক বছর ধরে ভাঙন সমস্যা তীব্র আকার ধারণ করেছে। এই সমস্যার কথা ইতিমধ্যেই লিখিতভাবে ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানানো হয়েছে। তিনি সেচ দফতরকে বিষয়টি দেখার কথা বলেছেন। ইতিমধ্যেই বাঁধ মেরামতের জন্য টেন্ডার হয়ে গিয়েছে বলে জানান জাহাঙ্গির খান।
সুমন সাহা