সন্ধে নামলেই মাঝেমধ্যে জঙ্গল থেকে বাঘের গর্জন ভেসে আসে। বাঘের হামলায় মৃত্যু হয় গবাদি পশুর। ইতিমধ্যেই বনদফতর দেউলবাড়ি গ্রাম সংলগ্ন জঙ্গল নাইলনের জাল দিয়ে ঘিরে দিয়েছে। তবুও আতঙ্ক কাটছে না গ্রামবাসীদের। গ্রামবাসীদের দাবি বাঁধের উপর যদি কোন সোলার লাইটের ব্যবস্থা করা হয় তাহলে কিছুটা হলেও তারা নিরাপদ মনে করবেন। আর তাই শীত পড়তেই জলে জঙ্গলে নজরদারি বাড়িয়েছে বনদফতর। দফায় দফায় চেকিং করা হচ্ছে গ্রাম সংলগ্ন নদীর পাড়ের জঙ্গলের ফেন্সিং।
advertisement
কোথাও জাল ছেঁড়া থাকলে সঙ্গে সঙ্গে বনকর্মীরা মেরামতি করছে। এছাড়াও বাঘ গ্রামে ঢুকলে যাতে দ্রুত খাঁচাবন্দি করা যায়। ইতিমধ্যেই যে জায়গাগুলি থেকে বাঘ বের হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, সেই জায়গাগুলিকে চিহ্নিত করে চারটি ফ্লোটিং ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি গ্রামের মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে বাঘ বেরোলে তাঁরা কী করবেন। সুন্দরবনে মোট ৬২ কিলোমিটার নাইলনের ফেন্সিং আছে। গ্রামবাসীদের মধ্যে থেকে ১৮ জনকে স্পেশালভাবে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। তাঁদেরকে জুতো, জ্যাকেট দেওয়া হয়েছে। এমনকী তাদের যে কোনও সময় বিপদ হতে পারে চিন্তা করে ইন্সুরেন্স করা হয়েছে। আর তাদের নাম দেওয়া হয়েছে র্যাপিডরেসপন্স টিম।
কুলতলির বিধায়ক গনেশ চন্দ্র মন্ডল জানান, গ্রামে বাঘ ঢুকলে আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই, প্রশাসন সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।
সুমন সাহা