আরও পড়ুন: ‘পথে যেতে যেতে’, এভাবেই সচেতনতা বার্তা অশোকনগর পুলিশের!
সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার বলা হয় ক্যানিংকে। সেই ক্যানিংয়ের নিকারিঘাটা পঞ্চায়েতের সাতমুখি বাজারে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। এই প্রান্তিক এলাকার ছেলেমেয়েরা যাতে মন দিয়ে পড়াশোনা করে ভালো ফলাফল করতে পারে এবং জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে সেই লক্ষ্যে স্বল্প ব্যয়ে একটি কোচিং সেন্টার গড়ে তোলেন এলাকার যুবক জেহেন আলি লস্কর। গত প্রায় ৩৫ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে এই কোচিং সেন্টারের ছাত্রছাত্রীরা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে আসছে। চলতি বছরে এই কোচিং সেন্টারের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ২৫ জন মাধ্যমিক ও ১২ জন উচ্চমাধ্যমিকে পরীক্ষা দিয়েছিল। তারা সকলেই ভালো ফল করে উত্তীর্ণ হয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এই কোচিং সেন্টারে প্রায় সকল ছাত্র-ছাত্রীই ইংরেজিতে লেটার মার্কস পেয়েছে।
advertisement
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সুন্দরবনের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। কোচিং সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা জেহেন আলি লস্কর বলেন, দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে পড়াশোনা করেছিলাম। তেমন সাফল্য আসেনি। মনের মধ্যে সেই যন্ত্রণা ছিল। জেদ ছিল আমি না পারলেও এলাকার ছেলেমেয়েরা যাতে সফলতার শীর্ষে পৌঁছাতে পারে তার ব্যবস্থা করব। চিন্তাভাবনা করে কোচিং সেন্টার গড়েছিলাম। ছাত্রছাত্রীরা ভালো ফল করে আমার ভাবনাকে সঠিক বলে প্রমাণ করেছে।
সুমন সাহা





