আরও পড়ুন: অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে গ্রেফতার ৫ বাংলাদেশি মহিলা, ধৃত ৩ ভারতীয় এজেন্ট
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের গৌড়হাট কুমোর পাড়াৎ বেশ কিছু মৃৎশিল্পী পরিবারের বসবাস। এক সময় তাঁদের বেশ রমরমা ছিল। কিন্তু সেই সুদিন গিয়েছে। আধুনিকতা অনেকের কাছে আশীর্বাদ হয়ে এলেও তাঁদের জীবনে সাক্ষাৎ শনি রূপে দেখা দিয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির হাত ধরে প্লাস্টিকের বাসনপত্রের প্রচলন বাড়তেই মাটির জিনিস থেকে মুখ ঘোরাতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। আর তাতেই বিপর্যয় নেমে এসেছে এই মৃৎশিল্পীদের জীবনে। অন্য বেশ কিছু পেশার মতো তবে কি মৃৎশিল্পীরাও আগামী দিনে পুরোপুরি হারিয়ে যাবেন? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।
advertisement
বাজারে এখনও চায়ের দোকানে অনেকেই মাটির ভাঁড় পছন্দ করেন। তাই সেই চাহিদাটাই বলতে গেলে একমাত্র ভরসা মৃৎশিল্পীদের। কিন্তু বাকি বাসনপত্রের চাহিদা বলতে গেলে নেই। যদিও বিশেষজ্ঞরা বারবার বলছেন, প্লাস্টিকের থালা, প্লেট, গ্লাস বর্জন করতে হবে পরিবেশের স্বার্থে। বদলে মাটির তৈরি জিনিস ব্যবহারে মানুষকে তাঁরা উৎসাহ দিচ্ছেন। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি বলছে আমজনতা এতো সতর্কবাণী শুনেও সাবধান হচ্ছে না। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত সময়ের চাকাটা ঘোরে, নাকি ধীরে ধীরে হারিয়ে যান মৃৎশিল্পীরা।
সুমন সাহা