আরও পড়ুন Hooghly News: হুগলিতে বন্দেভারতে ছোঁড়া হল পাথর, জানলার কাঁচ চূড়মার
কপিলক্ষেত্রে পুণ্য করতে আসা মানুষজন কাছ থেকে বাঘ দেখার স্বাদ মেটাতে নাওয়া-খাওয়া ভুলে বাঘের পিছু পিছু ঘুরছে। এ বাঘের 'নখ নেই, দাত নেই, কাউকে সে কাটে না' কেবল হালুম হালুম করে মুখভার করে না। বাঘেদের কেরামতি দেখে লুটুপুটিখাচ্ছে আট থেকে আশি সবাই। কারও কোন ক্ষতিও করছে না। বিশালদেহী এই দুই রয়েল বেঙ্গল টাইগারদের কাছে পেয়ে পুণ্যার্থী এবং পর্যটকরা রীতিমতো আপ্লুত, খুশির আনন্দে আত্মহারা। এতো কাছে বাঘ পেয়ে কে না ছবি তুলতে ভালবাসে ? কেউ বাঘের খুব কাছ থেকে, কেউ বাঘের গায়ে হাত দিয়ে, কেউ বা লেজে হাত বুলিয়ে আনন্দ উপভোগ করছেন। যুবক যুবতীরা তো বাঘের গলা জড়িয়ে সেলফি তুলতেই ব্যস্ত। গঙ্গাসাগরে বাঘেরা এখন রীতিমতো মনোরঞ্জনের খোরাক হয়ে উঠেছে।
advertisement
আরও পড়ুন East Medinipur News: ঠিক যেন অপরূপ ডিজাইন করা গয়না! সোনার বদলে ডালের, তৈরি করার পদ্ধতি দেখুন
এবারের গঙ্গাসাগর মেলায় দুই 'ছিনাথ বহুরূপী' রীতিমতো সেলিব্রেটি হয়ে হঠেছে। এবারের মেলার অন্যতম আকর্ষণ এই 'বাঘরূপী'। বাঘের প্রতি মানুষের ভালোবাসা এবং সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মনোরঞ্জন করতেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা বন বিভাগ এই দুই 'ছিনাথ বহুরূপী'দের গঙ্গাসাগরে বেলাভূমিতে আবির্ভার ঘটিয়েছে। সাগরসঙ্গমে লক্ষ মানুষের মধ্যে বাঘরূপী-মানুষ ছেড়ে দেওয়ার কারণ প্রসঙ্গে ২৪ পরগনা (দক্ষিণ) বন বিভাগের ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার মিলনকান্তি মন্ডল বলেন, 'বাঘ আমাদের জাতীয় পশু। সুন্দরবনের গর্ব।
আরও পড়ুন Cricketer Death: কেন এভাবে মৃত্যু হল উঠতি তরুণ ক্রিকেটরের? চাঞ্চল্য এলাকাজুড়ে
বাঘ সংরক্ষণের বিষয়ে মানুষকে আরও সচেতন করতে আমরা বাঘ অধ্যুষিত জঙ্গল সংলগ্ন গ্রাম গুলির আশপাশে, স্কুলে পথেঘাটে, হাটেবাজারে, চায়ের দোকানে এবং মেলায় নানাভাবে প্রচার চালাচ্ছি। বাঘ পথ ভুল করে লোকালয়ে চলে এলে গ্রামের মানুষ. সহজেই তাকে বনে ফেরাতে সহযোগিতা করছে।'মূলত বাঘ বাচানোর বার্তা সর্বত্র পৌছে দিতেই বন বিভাগ এবারের গঙ্গাসাগর মেলায় 'ছিনাথ'দের মেলায় এনেছে। মিলনবাবু আরও জানিয়েছেন , এই কপিলভূমি এক সময় ম্যানগ্রোভ অধ্যুষিত 'বাঘ-ভূমি' ছিল। অতীতের স্মৃতি স্মরণ করাতেই এই উদ্যোগ।
সুমন সাহা