যে রাঁধুনিকে কাজে যোগ দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর নাম রাঁধুনি রীতা পন্ডা। তিনি বিজেপির সমর্থক বলে জানা গিয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই ওই মহিলাকে মিড ডে মিলের কাজে যোগ দিতে শাসক দলের লোকজন বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ। এদিকে রাঁধুনিদের কর্ম বিরতির জেরে মিড ডে মিল বন্ধ হওয়ায় স্কুলে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। সব মিলিয়ে নামখানার এই প্রাথমিক স্কুলে পড়াশোনার লাটে ওঠার যোগার।
advertisement
আরও পড়ুন: রেললাইনে শৌচকর্ম করতে করতে মোবাইলে কথা, ট্রেনের ধাক্কায় ছিন্নভিন্ন অটোচালক
২০০৩ সাল থেকে এখানে মিড ডে মিলের রাঁধুনির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন দুর্গানগরের বাসিন্দা রীতা পন্ডা। অভিযোগ, হঠাৎই স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা নারায়ণপুর পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান চন্দ্রমোহন পাইক স্কুলে গিয়ে তাঁকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে বলা হয়, নির্দেশ না মেনে স্কুলে এলে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে। স্কুলের প্রধান শিক্ষককেও শাসক দলের ওই নেতা বিষয়টি জানিয়ে দেন। রাজনৈতিক কারণে মিড ডে মিলের রাঁধুনিকে কাছ থেকে বের করে দেওয়ার এই বিষয়টি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
বিষয়টি জানাজানি হলে ওই রাঁধুনির সমর্থনে স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখান। যদিও রাজনৈতিক কারণ অস্বীকার করে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা চন্দ্রমোহন পাইক বলেন, অনেকদিন থেকেই ওই মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। তিনি বিভিন্ন সময় নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রান্না করতেন। সেইজন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
নবাব মল্লিক