আরও পড়ুন: জরিমানার বদলে পরতে হল রাখি! অবাক কাণ্ড জয়নগরে
ড্রেজিং না হওয়ার ফলে বর্তমানে একপ্রকার জীবনের ঝুঁকি নিয়েই পায়ে হেঁটে পার হতে হচ্ছে মুড়িগঙ্গা নদী। পলি পড়ে যাওয়ার কারণে প্রায় প্রতিদিন ভেসেল পরিষেবা বন্ধ থাকছে। রোজ প্রায় ৪-৫ ঘণ্টা ধরে ভেসেল চলাচল বন্ধ থাকছে। আর এই ভেসেল পরিষেবা বন্ধ থাকার কারনে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাগরের নিত্যযাত্রীরা।
advertisement
অধিকাংশ সময় যাত্রী নিয়ে ভেসেল চড়ায় গিয়ে আটকে গিয়ে চরম বিপত্তির মধ্যে পড়ছে। এদিকে ভেসেল পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেলে সাগরের যাত্রীদের একমাত্র ভরসা থাকে ছোট ডিঙ্গি নৌকো বা ভুটভুটি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জামা কাপড় গুটিয়ে সাগরের যাত্রীরা বাধ্য হন মুড়িগঙ্গার উপর দিয়ে ঝুঁকির চলাচল করতে। তারপরে এক কিলোমিটারের বেশি কাদা মাড়িয়ে একেবারে মুড়িগঙ্গা নদীর মাঝ বরাবর গিয়ে এক কোমর জলে নেমে ভুটভুটি করে নৌকা ধরতে হয় সাগরে যাওয়ার জন্য।শুধু ছেলেরা এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হন তা নয়, মেয়েরাও একইভাবে পারাপার করছেন। সাধারণ মানুষদের একটাই অভিযোগ প্রতিনিয়ত প্রতিশ্রুতি মেলে কিন্তু ঠিকমতো কাজ হয় না, আর সেই কারণেই চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয় তাঁদেরকে। সাগর মেলার সময় বছরে একবার ড্রেজিং করা হয় তখন সব ঠিক থাকে দুই- তিন মাস যাওয়ার পরে পরিস্থিতিটা একই রয়ে যায়। যদিও এই পরিস্থিতি সাগর মেলার আগেই বদল ঘটবে বলে জানিয়েছেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা।
নবাব মল্লিক