ভো কাট্টা ও দুয়ো এই দুই মিলিয়েই ঘুড়ির আমেজ। আর তাতেই এই সময়ের গ্রাম বাংলার বিকেলটা কার্যত উৎসবের চেহারা নেয়। সবকিছু মিলিয়ে একটা উল্লাসের ছবিও চোখে পড়ে। এই ঘুড়ি ওড়ানো তো আর এমনি এমনি হয় না। এই সময় বেলা হলেই গ্রামের ছেলেদের দল বেঁধে সুতোয় মাঞ্জা দিতেও দেখা যায়। তার আগে চলে নানান ধরনের মাঞ্জা তৈরির পর্ব।
advertisement
আরও পড়ুন: এক সময় সেখানে শিক্ষকতা করেছেন, 'দিদির দূত' হয়ে ফের সেই স্কুলে ফিরে গেলেন মন্ত্রী, নিলেন ক্লাস
তবে এখন বাজারে প্রচুর পরিমাণে চাইনিজ সুতো চলে আসায় আগের মত মাঞ্জা দেওয়ার প্রবণতা অনেকটাই কমেছে। তবে গ্রাম বাংলায় এখনও বহু জায়গায় মকর সংক্রান্তির সময় থেকে ঘুড়ি ওড়ানোর উৎসাহ যথেষ্ট আছে। এই নিয়ে নানান জায়গায় প্রতিযোগিতা, উৎসবের আসরও বসে। তেমনই এক ঘুড়ি ওড়ানো প্রতিযোগিতা আয়োজিত হল জয়নগরের উত্তর দুর্গাপুর এলাকায়। সারাদিন চলল এই ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতা। কে কতগুলি ঘুড়ি কাটতে পারে তার উপর নির্ভর করে পুরস্কার পাওয়া যাবে। এলাকার ছোট থেকে বড় সবাই মেতে ওঠেন এই ঘুড়ি ওড়ানো উৎসবে। তবে গত দু'বছর করোনার জন্য এই উৎসব থেকে বিরত ছিল সাধারণ মানুষ। এবারে আর কোনও বাধা নেই, তাই ছোট থেকে বড় সবাই সামিল হন এই ঘুড়ি উৎসবে।
সুমন সাহা