আরও পড়ুন: পুজোর দিনগুলিতে শহরকে যানজট মুক্ত রাখতে টোটো চলাচলে নিয়ন্ত্রণ
প্রচন্ড বৃষ্টি যেন যাই যাই করেও যাচ্ছে না। ঘুরে ফিরে আসছে। আর তারফলে আতঙ্ক ছড়িয়েছে সুন্দরবনের তীরবর্তী এলাকার মানুষজনের মধ্যে। গঙ্গাসাগরের কপিলমুনির মন্দির সংলগ্ন ৫০০ মিটার মাটির নদীবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সমুদ্র উত্তল থাকার কারণে পর্যটকদের সমুদ্রে নামার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। এছাড়াও পুলিশ প্রশাসনের তরফে মাইকিং করে পর্যটক ও পুণ্যার্থীদের সতর্ক করা হচ্ছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে আরও জল বাড়ার সম্ভাবনা আছে। ফলে পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হতে পারে বলে আশঙ্কা।
advertisement
এদিকে সবদিক বিবেচনা করে পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুত রাখা হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সুন্দরবনের দুর্বল নদী বাঁধগুলির ওপর নজরদারি চালাচ্ছে সেচ দফতর। বড় কোনও বিপর্যয় হলে দ্রুত জেলা ও কোটাল ও সমুদ্র উত্তল থাকার কারণে গঙ্গাসাগরে কপিলমুনি মন্দির সংলগ্ন দু’নম্বর রাস্তা থেকে পাঁচ নম্বর রাস্তা পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মিটার সমুদ্র সৈকতের মাটির নদী বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। ওই ফাটল থেকে সমুদ্রের জল এলাকায় প্রবেশ করছে।
এই বিপর্যয়ের সময় আবারও স্থায়ী কংক্রিটের নদী বাঁধের দাবি তীব্র হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, স্থায়ী কংক্রিটের বাঁধ দিলে তবেই একমাত্র কপিলমুনি মন্দিরকে বাঁচানো সম্ভব হবে। নাহলে আগামী দিনে হয়তো কপিলমুনির মন্দির নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
সুমন সাহা





