স্বপ্নাদেশের পর ঘুম ভাঙে। মন্দির প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন গুণানন্দ। মূর্তি তৈরি করান। জনশ্রুতি, স্বপ্নাদেশ অনুযায়ী, পুকুরের কাছে দেবীর শিলারূপ মেলার কথা। পুকুর থেকে উদ্ধারও হয় সে শিলা। এখনও নিয়ম করে সেটির পুজো হয়। জয়চণ্ডীদেবীর সামনেই এখনও রয়েছে শিলাটি। জয়চন্ডীর রূপ পরিবর্তন উৎসব শুরু হয়েছে। ১৫ দিন ধরে চলবে। তা দেখতে এই ক’দিন আসেন দূর দূরান্তের মানুষ। জয়নগর-মজিলপুর পুরসভার ন’নম্বর ওয়ার্ডে জয়চণ্ডীতলায় রয়েছে এই মন্দির। লোকে বলে, জয়নগরের নাম এই দেবীর নাম থেকেই হয়েছে। ১৫ দিন দেবী জয়চণ্ডী মাহেশ্বরী, শ্রীলক্ষ্মী, শীতলা, বিগত্তারিণী, গণেশজননী, বৈষ্ণবী, মনসা, জগদ্ধাত্রী, জাহ্নবী, অন্নপূর্ণা, রাইরাজা, কমলে কামিনী, ইন্দ্রাণী, রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিত হন। রাজরাজেশ্বরী রূপ তিনদিন থাকে।
advertisement
আরও পড়ুন : হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচতে চান? আজই কিচেন থেকে দূর করুন এই ৪ তেল! রান্নার তেল বদলান, হৃদযন্ত্র সারান
এই রূপ পরিবর্তন উৎসবে বিশাল মেলা বসে। মন্দিরের বর্তমান সেবায়েত রবীন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমায় জগন্নাথের স্নানযাত্রার দিন ভোরে শিলাকে গঙ্গার জল এনে স্নান করানো হয়। মূর্তিকেও স্নান করানোর নিয়ম। পুজোর দায়িত্ব পেয়েছিল পণ্ডিত বংশ। সেই বংশের সঙ্গে চট্টোপাধ্যায় পরিবারও পুজোর দায়িত্ব পালন করে চলছে।’’