এদের একজন সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন। অন্যজনের প্রাপ্ত নম্বর ২। কিন্তু দুজনের নম্বর বাড়িয়ে ৫২ ও ৫৪ করা হয়েছিল। সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন মধুমিতা দাস। নম্বর বাড়িয়ে ৫৪ করা হয়েছে। মধুমিতা চাকরি করতেন সাগরের ধবলাট লক্ষ্মণ পরবেশ উচ্চ বিদ্যালয়ে। মধুমিতার বাবা সুভাষ দাস মুড়িগঙ্গা দু'নম্বর পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান।
advertisement
আরও পড়ুন: কৌস্তভ নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত হাই কোর্টের! সিপি-কে কড়া নির্দেশ, এবার যা হবে...
স্কুলের সহ শিক্ষক বিজয় বেরা জানান, 'আমরা ডিআই-এর থেকে মেল পেয়েছি। শেষ স্কুলে এসেছিল ৯ তারিখ। চাকরি দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসায় আমরা মর্মাহত। মধুমিতার বাবা সুভাষ দাস বলেন, 'মেয়ে বলেছিল ভাল পরীক্ষা দিয়েছি। কিন্তু কি করে সাদা খাতা এল জানি না। আমরা আদালতে যাবো।'
আরও পড়ুন: নবান্নে ঢুকেই আমচকা এ কোথায় গেলেন মমতা! চরম ক্ষুব্ধ, ফাঁকা চেয়ারেও উষ্মা
এছাড়াও সাগরের মুড়িগঙ্গা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান শান্তনু জানার মেয়ে প্রিয়াঙ্কা জানার নাম আছে চাকরি বাতিলের তালিকায়। প্রিয়াঙ্কা কর্মরত ছিলেন পাথরপ্রতিমার শ্রীধরনগর শৈলেন্দ্র বিদ্যাপীঠে। প্রিয়াঙ্কার প্রাপ্ত নম্বর ২। কিন্তু বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫২। এদিন প্রিয়াঙ্কা ও তাঁর বাবা শান্তনুকে বাড়িতে গিয়েও পাওয়া যায়নি। প্রিয়াঙ্কার মা দীপালিজানা জানিয়েছেন, মেয়ের চাকরি গেছে বলে তিনি জানেন না।
তবে এই চাকরি দুর্নীতি নিয়ে মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেন, 'এরা কেউ আমার আত্মীয় নয়। এরা কিভাবে নিয়োগ হয়েছিল আমার জানা নেই। তাই এখন কর্মের ফল ভোগ করতে হবে। আদালতের নির্দেশ মেনে নিতে হবে।'
-----নবাব মল্লিক






