প্রাথমিক পর্যায়ে ৪৭ জনকে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। যাঁরা এই প্রশিক্ষণ পেয়েছেন তাঁরা তাঁদের নিজেদের এলাকায় গিয়ে সকলকে এই প্রশিক্ষণ দেবেন। এই উপলক্ষ্যে কাকদ্বীপে এনডিআরএফ-এর একটি ব্যাটেলিয়ান পৌঁছে যায়। এই ব্যাটেলিয়ান-এর নেতৃত্ব দেন কমান্ডার রাকেশ কুমার শর্মা।
মূলত কাকদ্বীপ, নামখানা, সাগর, পাথরপ্রতিমা-সহ একাধিক দ্বীপাঞ্চলে প্রতি বছর জলোচ্ছ্বাস ও ঝড়ের ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে মানুষজনকে সরিয়ে আনতে অনেকটা সময় ব্যায় হয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর। সে সময় সাধারণ মানুষজন নিজেরা যাতে আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলা করে সেজন্য এই ট্রেনিং দেওয়া হয়।
advertisement
আরও পড়ুন - ২৬৯ জন 'শিক্ষক'-এর চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্তে সাময়িক স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের
আরও পড়ুন - মার্চ- এপ্রিলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট? প্রস্তুতি তুঙ্গে, খবর কমিশন সূত্রে
এই ট্রেনিং-এর মাধ্যমে জলে ভাসমান বিভিন্ন জিনিস একত্রিত করে কী ভাবে ভেসে থাকা যায় সেগুলি দেখানো হয়েছে। নারকেল, প্লাস্টিকের জার, শোলা-সহ একাধিক জলে ভাসমান বস্তু ব্যাবহার করে কী ভাবে ভেসে থাকতে হয় তা দেখানো হয়েছে। এর সঙ্গে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এলাকায় পৌঁছালে কী ভাবে উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা যাবে তাও দেখানো হয়েছে।
এই প্রশিক্ষণ নিয়ে এনডিআরএফ-এর সেকেন্ড ব্যাটেলিয়ানের কমান্ডার রমেশ কুমার শর্মা জানান, এই প্রশিক্ষণ সাইক্লোন, নদীতে জলোচ্ছ্বাস-সহ একাধিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে কাজে আসবে। ভবিষ্যতে কোনও বড় বিপর্যয় হলে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী আসার আগেই মানুষজন যাতে আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারে সে জন্য এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
নবাব মল্লিক