সাদ্দামের পরিবার সূত্রে খবর, ২০১৪ সালে সাদ্দামের সঙ্গে মমতাজ বিবির বিয়ে হয়েছিল কিন্তু বিবাহের পরে মমতাজ বিবি যখন শ্বশুর বাড়ি যায় তখন দেখেন স্বামীর আর একটি স্ত্রী আছেন, সঙ্গে দুটি সন্তান আছে। তাতেও মমতাজ বিবি, সাদ্দামের সঙ্গে সংসার করছিলেন কিন্তু দিনের পর দিন মমতাজের উপর অত্যাচার আরম্ভ করে সাদ্দাম ও তার বাড়ির লোক। মমতাজ কিছুদিন পরে নিজের বাড়ির কাশীপুরে ফিরে যায় এবং পরে বিবাহবিচ্ছেদ হয়। কিন্তু তাদের দুজনের মধ্যে মোবাইলে যোগাযোগ ছিল ।
advertisement
২০১৬ সালে ২৯ শে জুন সন্ধ্যায় সাদ্দাম মমতাজ এর বাড়িতে যায়। বাড়ির পাশে দুজনে গল্প করে অনেক রাত পর্যন্ত পরে মমতাজকে খুন করে সাদ্দাম সেখান থেকে জুতো ফেলে পালিয়ে যায়। মমতাজের আত্মীয় পরে দেখতে পায় মমতাজ বাড়ির পাশেই শুয়ে আছে সঙ্গে সঙ্গে সে চিৎকার চেঁচামেচি করে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসে কাশিপুর থানার খবর দিলে কাশিপুর থানার পুলিশ মমতাজের দেহটি ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যায় মমতাজের বাড়ির লোক মমতাজের খুনের ব্যাপারে কাশিপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। কাশিপুর থানার পুলিশ পরে সাদ্দাম মন্ডলকে গ্রেফতার করে। বারুইপুর মহকুমা আদালতে সেই মামলা চলে সাত বছর সাদ্দাম মন্ডল জেলে ছিল।
আরও পড়ুন: রুচল না তিহাড়ের রুটি, ওষুধ নিয়েও সমস্যা! প্রথম রাতেই বেকায়দায় কেষ্ট
আরও পড়ুন: পড়াশোনায় মেধাবী, ইঞ্জিনিয়ারিংও পাশ করেছে, তাঁর মেয়ে সম্পূর্ণ নির্দোষ, দাবি শ্বেতা চক্রবর্তীর বাবার
বারুইপুর মহাকুমা আদালতের ফাস্ট ট্রাক কোর্টে বিচার চলছিল সাদ্দামের৷ বুধবার ফাস্ট ট্রাক কোর্টের বিচারক মুন চক্রবর্তী এসলাসে এই মামলাটির রায় ঘোষণা করে সাদ্দামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।
অর্পণ মণ্ডল