আরও পড়ুন: অকাল বর্ষণে মাঠেই নষ্ট সবজি, যোগানের অভাবে পুজোর আগেই বাড়ছে দাম
নদীবক্ষে যাতায়াত করা নৌকা ও ট্রলারের আঘাতে অনেকসময় মৃত্যু হচ্ছে গাঙ্গেয় ডলফিনের। ফলে সংখ্যায় কমছে এই শুশুক। আগে ডায়মন্ডহারবারের একটু উপরের দিকে রায়চক, নুরপুর পর্যন্ত এই শুশুক বা গাঙ্গেয় ডলফিন দেখতে পাওয়া যেত। এই পরিস্থিতিতে শুশুক সংরক্ষণে জোর দিতে চলেছে বন দফতর। নেওয়া হয়েছে একাধিক পরিকল্পনা। এ নিয়ে বন দফতর ও ওয়াইল্ড লাইফ ইনিস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার একটি যৌথ কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে।
advertisement
বন দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্থানীয় মৎস্যজীবীদের ডলফিন মিত্র হিসেবে নিয়োগ করা হবে। এঁরা গাঙ্গেয় ডলফিন সংরক্ষণ নিয়ে অন্যান্য মৎস্যজীবীদের সচেতন করবেন। একটি পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, প্রতিবছর গড়ে ৬-৮ টি শুশুক মারা যাচ্ছে। যার অধিকাংশই নৌকা ও ট্রলারের প্রপেলারের আঘাতে মরছে। সেজন্য ট্রলারগুলিতে পিঙ্গার মেশিন বসানো হবে। যে মেশিন থেকে সাউন্ড তৈরি হবে। যার মাধ্যমে বোঝা যাবে ডলফিনের উপস্থিতি। ফলে চালক প্রপেলার বন্ধ করতে পারবেন। এছাড়াও ডায়মন্ডহারাবার থেকে জম্বুদ্বীপ পর্যন্ত হবে ডলফিন ফ্লোটিং রেঞ্জ গড়ে তোলা হবে। সঙ্গে থাকবে ডলফিন কনজার্ভেশান রিজার্ভ এরিয়া। যা আগামীদিনে ডলফিন সংরক্ষণে সহযোগিতা করবে।
নবাব মল্লিক