২০২৪ সালের ১২ জানুয়ারি শুরু হবে গঙ্গাসাগর মেলা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তীর্থযাত্রীরা ওই সময় সংক্রান্তির পূণ্যস্নানের জন্য ছুটে আসেন গঙ্গাসাগরে। ১৫ জানুয়ারি ভোরে মকর সংক্রান্তির পূণ্যস্নান আছে। তার জন্য দুর্গাপুজোর আগেই প্রস্তুতি শুরু করে দিল প্রশাসন।
আরও পড়ুন: লুপা পোকার আক্রমণে সঙ্কটে উত্তরের চা শিল্প
২০২৪ এর গঙ্গাসাগর মেলায় রেকর্ড সংখ্যক পুণ্যার্থীর সমাগম হতে পারে বলে মনে করছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের কর্তারা। গত কয়েক মাস ধরেই মুড়িগঙ্গার নাব্যতা কমে গিয়েছে। এর ফলে প্রতিদিন ৪-৫ ঘণ্টা ভেসেল চলাচল বন্ধ থাকছে। তাতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ছেন নিত্য যাত্রীরা। গঙ্গাসাগর মেলার সময় সেই সমস্যা যাতে না হয় তার জন্য পুজোর পরই ড্রেজিং করা হবে মুড়িগঙ্গায়। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে আগামী ২৯ অক্টোবর থেকেই মুড়িগঙ্গায় ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু করবে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর।
advertisement
আগাম গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি শুরু করার বিষয়ে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা বলেন, ২০২৪ এর গঙ্গাসাগর মেলাকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে প্রথম দফার বৈঠক হল। গঙ্গাসাগরের কপিলমুনির মন্দিরের সামনে নদী ভাঙন রোধ করার জন্য রাজ্যের সেচ দফতর ব্যবস্থা নিচ্ছে। কীভাবে কপিলমুনির মন্দিরকে রক্ষা করা যায় তা দেখা হচ্ছে। গঙ্গাসাগর মেলার সময় পূর্ণ্যার্থীদের যাতায়াতের অসুবিধা যাতে না হয় সেজন্য দুটি স্থায়ী জেটিঘাটের নির্মাণ করা হবে। এই বৈঠকের পর দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা জানান, ২০২৪ এর গঙ্গাসাগর মেলার কথা মাথায় রেখে প্রশাসনের বিভিন্ন আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়। মূলত এই বৈঠকে পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা ও যাত্রী পারাপারের উপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে মেলা পরিচালনার করার ক্ষেত্রে আগামী দিনেও বিভিন্ন দফতর আধিকারিকদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের বৈঠক হবে।
সুমন সাহা