আরও পড়ুন: মরণোত্তর দেহ দান শুরু হল আরামবাগ মেডিকেল কলেজে, প্রথম নামটাই প্রয়াত কংগ্রেস নেতা প্রদীপ দত্তের
এই গঙ্গাধরপুর সেতুর জন্য এলাকায় পর্যটকদের আনাগোনা ক্রমশ বাড়ছিল। কিন্তু এটির বর্তমান অবস্থা মোটেও ভাল নয়। তাছাড়া সন্ধের অন্ধকার নামলেই গোটা এলাকা ঘুটঘুটে অন্ধকারে ঢেকে যায়। সেতুর উপর কোনও আলো নেই, এলাকায় সমাজবিরোধীদের আনাগোনা বাড়ে। এই পরিস্থিতিতে বাইরের পর্যটকরা এলাকা থেকে মুখ ঘোরাচ্ছেন। আর তাতেই মাথায় হাত পড়েছে স্থানীয়দের। কারণ এলাকায় পর্যটকরা এলে দুটো পয়সা তাঁদেরও রোজগার হয়। ফলে প্রশাসনের কাছে সেতু সংস্কারের দাবি তুলে ধরা হয়েছে।
advertisement
এই গঙ্গাধরপুর সেতুর উপর দাঁড়ালে অনুভব করা যায় এক টুকরো সুন্দরবনকে। এই দিয়েই যাওয়া যায় কুমির প্রকল্পে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা পাথরপ্রতিমা ব্লকের সঙ্গে কাকদ্বীপ ব্লকের সংযোগকারী সপ্তমুখী নদীর উপর বামফ্রন্ট আমলে গড়ে উঠেছিল এই সেতুটি, যার বর্তমান নাম সপ্তমুখী সেতু। তৎকালীন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী কান্তি গাঙ্গুলির উদ্যোগে ১৯৯৮ সালে এই সেতু তৈরি হয়। তারপর কেটে গিয়েছে প্রায় ২৫ টি বছর। আগে সুন্দরবন ঘুরতে যাওয়ার সময় এই সেতুতে কিছুসময় দাঁড়াতেন ছবি শিকারিরা। তবে এখন তার অবস্থা বেশ খারাপ। নিয়মিত সংস্কারের অভাবে পরিস্থিতি ক্রমশই খারাপ হচ্ছে। যে সেতু সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত ছিল তার পরিবেশ এখন আর নেই, ফলে সেই পরিবেশ দ্রুত ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
নবাব মল্লিক