ভাঙড়ের ভোজেরহাটে বাসন্তী রাজ্য সড়ক লাগোয়া ফুটবল মাঠে আট দলীয় দিন রাতের ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়। দেশি ফুটবলারদের পাশাপাশি নাইজেরিয়া ও উগান্ডার বেশ কিছু ফুটবলার এই প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করেন (South 24 Parganas News)। রুপোর ট্রফির পাশাপাশি প্রথম পুরস্কার ছিল এক লক্ষ ৪০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ছিল এক লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। এদিন এই ফুটবল প্রতিযোগিতায় উপচে পড়ে মানুষের ভিড়। একদিকে যেমন মঞ্চে উপস্থিত তৃণমূল নেতা নেত্রী ও অতিথি, অভ্যাগত সহ মাঠে উপস্থিত দর্শক কারও মুখে মাস্ক ছিল না। এদিন ফুটবল ম্যাচে উপস্থিত হন তৃণমূলের জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী, জেলার আইএনটিটিইউসি সভাপতি শক্তি মণ্ডল, তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম, কাইজার আহমেদ, কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার আইসি প্রশান্ত ভৌমিক সহ অন্যান্যরা।
advertisement
এই মূহুর্তে ভাঙড় এক নম্বর ব্লক এলাকায় করোনা রোগীর সংখ্যা চার জন। এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য, সেখানে করোনা সংক্রমণ নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে। যখন সরকার আংশিক লকডাউনের পথে হাঁটছে, সেই সময় কিভাবে এমন অবিবেচকের মত কাজ করেন স্থানীয় নেতৃত্বেরা। প্রশাসনই বা কিভাবে এই ধরনের খেলার অনুমতি দেয়?
ফুটবল প্রতিযোগিতার মূল উদ্যোক্তা অহেদ আলী শেখ বলেন, "এর আগে কলকাতা পুরসভার ভোটের কারণে খেলা পিছিয়ে দেওয়া হয়। ১৯ ডিসেম্বরের পরিবর্তে এদিন করা হয়। এইদিন খেলাটা না হলে জনগণ ক্ষিপ্ত হয়ে গন্ডগোল করত। তাই বাধ্য হয়ে প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানটি করা হয়েছে"। এই বিষয়ে ভাঙড় এক নম্বর ব্লকের বিডিও দীপ্যমান মজুমদার বলেন, "এই ধরনের ফুটবল প্রতিযোগিতায় কোনো অনুমতি নেওয়া হয়েছে বলে মনে পড়ছে না। বিষয়টি আমার জানা নেই, খোঁজ নিয়ে দেখছি। সেই মত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব"।
করোনা সংক্রমণ রোধে ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। জায়গায় জায়গায় চলছে নজরদারি। ইতিমধ্যেই করোনার নিয়ম ভঙ্গের অপরাধে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে (South 24 Parganas News)। প্রয়োজনে প্রশাসনকে আরও কড়া হওয়ার বার্তা দিয়েছেন সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা।
Rudra Narayan Roy