অভিযুক্ত অবিনাশ নস্করের সঙ্গে অন্য মহিলার অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। মা ও মেয়ের নামে কিছু টাকা ব্যাঙ্কে ছিল৷ সেই টাকা হাতানোর লক্ষ্যেই প্রথমে মা ও পরে মেয়েকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। মৃত সুদেষ্ণার মামাবাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। খুন নাকি তা আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে। সুদেষ্ণার বন্ধুরা গতকাল বিকেলে তাকে ডাকতে যায়। প্রথমে কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে জানলার ফাঁক দিয়ে তার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায়। তারাই বিষয়টি অন্যান্যদের জানায়। পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে।
advertisement
আরও পড়ুন Durga Puja 2022: ভুবন বাদ্যকরের কাঁচা বাদাম এবার দুর্গাপুজোর থিমে! চমক মালদহের মণ্ডপে
এই ঘটনায় অবিনাশ নস্করকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। বাড়ির মালিক ও অন্যান্য ভাড়াটিয়াদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সুদেষ্ণার মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে অভিযুক্ত বাবা অবিনাশ নস্কর জানান, 'আমি আমার মেয়েকে খুন করিনি। ও সুইসাইড করেছে তবে কি কারণে সুইসাইড করেছে তা আমি বলতে পারব না। আমি যেটা জানতে পেরেছি ওর একটা বান্ধবী এসে ডাকাডাকি করছিল ও সাড়া দিচ্ছিলনা। ভিতর থেকে তালা মারা ছিল তারপর আমি তড়িঘড়ি বাড়িতে এসে তালাটা ভেঙে ঘরের ভিতরে গিয়ে দেখি পাখায় ওড়না বেঁধে সুইসাইড করেছে।'
আরও পড়ুন North 24 Parganas News: এ এক অদ্ভুত অ্যাম্বুলেন্সের গল্প! শুনলে চমকে যাবেন!
পাশাপাশি এ বিষয়ে মৃত সুদেষ্ণার মামা কুশ নস্কর বলেন, 'আমার বোনের বরের অন্য একজনের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে৷ যার কারণে গত বছর আমার বোনকেও খুন করেছিল৷ ঠিক এক বছরের মধ্যে সেই একই রকম ঘটনা আমার ভাগ্নিকে গলায় ফাঁস দিয়ে মেরে দিয়েছে। এখন এই অভিযোগ তিনি অস্বীকার করছেন। বেশ কিছু টাকা আমার ভাগ্নির নামে আছে সেই টাকা হাতিয়ে নিতে না পারায় তিনি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন l আমরা চাই পুলিশ সঠিক তদন্ত করে অভিযুক্ত শাস্তি দিক।'
সুমন সাহা