গত কয়েকদিন লাগাতার তীব্র তাপদাহে পুড়ছে সারা রাজ্য। কোথাও দেখা নেই মেঘলা আকাশ ও বৃষ্টির। সবাই যেন এক পশলা বৃষ্টির জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন। এদিকে বৃষ্টির কোনও সংবাদও দিতে পারছে না আবহাওয়া অফিস। তবে অবশেষে সেই স্বস্তির বৃষ্টি নামল জেলা জুড়ে । এই বৃষ্টিতে সেটা নিম্নচাপ হোক অথবা বর্ষা আগমন হোক। মানুষ একটু হলেেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে।
advertisement
আরও পড়ুন: বিয়ের আগের দিন পাত্রের সঙ্গে চরম বিপর্যয়… বিয়ে হল বাতিল, আসল ঘটনায় চমকে উঠবেন
তবে মানুষের এই তীব্র দাবদাহ থেকে যতটা স্বস্তি পেয়েছে আবার ঠিক ততটাই উপকৃত হয়েছে কৃষকরা। যার কারণে বর্ষা অনেকটাই দেরিতে প্রবেশ করছে। তাই চাষের বীজ রোপন করতে অনেকটাই দেরি হয়ে গেল।
তীব্র দাবদাহের জেরে চাষের জমিতে একটুও জল ছিল না। তাই ধানের বীজ রোপন করতে পারেনি কৃষকরা। আরে বৃষ্টি হওয়ার কারণে তাদের রোপনের অনেকটাই সুবিধা হল এবং চাষের জন্য এক ধাপ এগিয়ে থাকল তারা।
আরও পড়ুন: ‘পদ্মফুল যেন সর্ষেফুল দেখে ১১ জুলাই’, বারাবনিতে হুঙ্কার অভিষেকের
তবে এ বিষয়ে নিমপীঠ কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের কৃষি বিজ্ঞানী চন্দন মন্ডল জানিয়েছেন, “এবছর বর্ষা অনেকটাই দেরিতে এসেছে তাই কৃষকরদের বেশ কিছু নিয়ম অবলম্বন করতে হবে। তার মধ্যে অন্যতম হল দেরিতে চাষের কারণে যতটা সম্ভব কীটনাশক যুক্ত সার জমিতে কম ছড়াতে হবে। এবং রাসায়নিক সারের ব্যবহার বাড়াতে হবে।
আর এই আবহাওয়ার খামখেয়ালিপোনায় রাসায়নিক সারের অনেকটাই উপকারে আসবে কৃষকদের এবং নিমপীঠ কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের কৃষিবিজ্ঞানীদের পরামর্শ নেবেন চাষের জন্য।
সুমন সাহা