একসময় এলাকার অভিজাত পরিবার হিসাবে গণ্য হত এই মল্লিক পরিবার। এই মল্লিক পরিবারের অন্যতম সদস্য ছিলেন গিরিশ চন্দ্র মল্লিক। তিনি গ্রামের বাইরে নদীর কাছে একটি সুন্দর বাড়ি নির্মাণ করেন। এক রাতে তিনি স্বপ্নাদেশ পেয়ে পরের দিন নদীতে স্নান যান।
আরও পড়ুন Durga Puja News: ১২৮ বছরের পুরনো দুর্গা পুজোর প্রস্তুতি শুরু! আনন্দে মাতোয়ারা মাথাভাঙ্গা
advertisement
এরপর সেখান থেকে শিবলিঙ্গ পান তিনি। এই শিবলিঙ্গ ভক্তিভরে প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। শুরু হয় মন্দির নির্মাণের কাজ। এই ঘটনার সঙ্গে শুরু হয় নীলের মেলা ও দুর্গাপুজো। প্রতি বছর জন্মাষ্টমীর দিন কাঠামো পুজো করা হয়। আগে মহালয়ার পরের দিন থেকে দেবী ঘট স্থাপন করে পুজো করার রীতি ছিল। কিন্তু বর্তমানে ষষ্ঠীর দিন থেকে পুজো শুরু হয়।বর্তমানে নীলপুজো থেকে যে অর্থ উপার্জন হয়, সেই অর্থের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের অর্থ যোগ করে দুর্গাপুজো চালানো হয়।
আরও পড়ুন Durga pujo 2022 : পুজোয়ে মহিলাদের জন্য বিশেষ সুরক্ষা ব্যবস্থা, তৈরি হচ্ছে স্পেশাল Anti-Teasing টিম
এই পুজোতে অষ্টমীর দিন খিচুড়ি ভোগের ব্যবস্থা করা হয়। প্রতিমা দশমিতেই বিসর্জন(সপ্তাহের যে দিনই দশমী পড়ুক) হয়।আগে হাওড়া জেলা থেকে ঠাকুর নির্মাণ করার কাজে মৃৎ শিল্পী আসতেন। সুজাপুরের ঢাকিরা ঢাক বাজাতেন। তবে কালের নিয়মে এই পুজোর জৌলুস কিছুটা কমেছে, তবে আভিজাত্য বর্তমান আছে এখনও। বনেদি বাড়ির পুজো হলেও এখনও এই পুজো দেখতে স্থানীয় গ্রামবাসীরা সেখানে ভিড় করেন প্রবল উৎসাহ উদ্দীপনায়।
নবাব মল্লিক






