আরও পড়ুন: হাসিমারা বাজার যেন নরককুণ্ড, জিনিস কিনতে এসে নাজেহাল চা শ্রমিকরা
প্রতিমার গয়না শিল্পীদের হাতের ছোঁয়ায় তৈরি হয় মা দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতীর রকমারি গয়নার সেট ও ডাকের সাজ। প্রতিমার সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে শোলার গয়না গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা নেয়। বাপ-ঠাকুরদার হাত ধরে শোলার গহনা তৈরি ও ডাকের সাজে হাত পাকিয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের দাস পাড়ার এই প্রতিমার সাজ শিল্পীরা। বংশপরম্পরায় ধরে এই কাজী করে আসছেন তাঁরা। এটাই তাঁদের জীবিকা। দুর্গাপুজোর আগে এই মানুষগুলোর ব্যস্ততা তুঙ্গে ওঠে। এই সময় কয়েক মাস প্রতিমার অলঙ্কার, ডাকের সাজ তৈরি করে যে আয় হয় তা দিয়েই সারা বছর সংসার চালান।
advertisement
দাসপাড়ায় গিয়ে জানা গেল, পরিবারের সবাই যদি কাজে হাত লাগায় তবে একটি প্রতিমার সাজ তৈরি করতে সময় লাগে এক সপ্তাহ। বিভিন্ন উচ্চতার প্রতিমার জন্য প্রতিটা সেটের সাজ তৈরি করতে খরচ হয় ৩ হাজার হাজার টাকা থেকে শুরু ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। বিভিন্ন সাজের মধ্যে এখানে তৈরি হয় প্রতিমার মুকুট, আঁচল, চালি, বুক চেলি, ঘাড় বেণী, কলকা ও কান মোগর প্রভৃতি। গহনার সেট তৈরি হওয়ার পরে কলকাতার বড় বাজার থেকে কুমোরটুলি সমস্ত জায়গায় পাইকারি হিসেবে চলে যায় এগুলো।
এখানকার শিল্পীদের আক্ষেপ, সরকার অন্যান্য অনেক শিল্পকে কুঠির শিল্পের মর্যাদা দিলেও তাঁরা সেটা পাননি। ফলে ব্যবসা বাড়ানোর জন্য ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পান না। তাছাড়া প্রতিমার অলঙ্কার তৈরির কাজে সরকারের থেকে প্রযুক্তিগত সাহায্য পায় না এই মানুষগুলো। সরকার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে এই শিল্প আরও উন্নতি লাভ করবে বলে তাঁদের আশা। না হলে নতুন প্রজন্ম এই শিল্প থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেবে বলে আশঙ্কার কথাও শোনালেন জয়নগরের শিল্পীরা।
সুমন সাহা